Header Ads

হিযবুত তাহরীরের শীর্ষ নেতা তৌহিদুর রহমান গ্রেপ্তার


হিযবুত তাহরীরের শীর্ষ নেতা তৌহিদুর রহমান গ্রেপ্তার


পুলিশ হিযবুত তাহরীরের অন্যতম শীর্ষ নেতা তৌহিদুর রহমান ওরফে তৌহিদ ওরফে সিফাতকে (২৯) গ্রেপ্তার করেছে। বুধবার কক্সবাজার থেকে তাঁকে আটক করা হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) বিভাগ জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে সরকার ও দেশবিরোধী প্রচারণায় সক্রিয় থাকার পাশাপাশি অনলাইন সম্মেলনে প্রধান সমন্বয়ক ও বক্তা হিসেবে কাজ করছিলেন তিনি।

বৃহস্পতিবার মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সিটিটিসির প্রধান ও ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান জানান, তৌহিদ রাজধানীর শনির আখড়ার শুভেচ্ছা টাওয়ারে বসবাস করতেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেছেন যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করার পর ফ্রিল্যান্সিং করছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়, ২০১১ সালে দুই বন্ধুর মাধ্যমে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে যুক্ত হন।

২০১১ সালে সংগঠনের কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগে হাজারীবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় তিনি গ্রেপ্তার হন এবং চার মাস কারাগারে থাকার পর জামিনে মুক্তি পান। এরপর সংগঠনের কাজে পুনরায় সক্রিয় হন। ২০১৭ সালে তিনি সংগঠনে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন এবং দ্রুত শীর্ষ নেতাদের মধ্যে জায়গা করে নেন। বিশেষ অ্যাপ ব্যবহার করে সংগঠনের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতেন, যা তাঁদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধরাছোঁয়ার বাইরে রাখত।

২০১৯ সালের এপ্রিলে পুলিশ তাঁকে পুনরায় গ্রেপ্তার করে। তবে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর আবারও সংগঠনের সাংগঠনিক কার্যক্রমে সক্রিয় হন। অনলাইন সম্মেলনে অংশ নেওয়ার অভিযোগে রমনা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে, যার ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

সিটিটিসি প্রধান আসাদুজ্জামান আরও জানান, ২০০৯ সালে সরকার হিযবুত তাহরীরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে, কারণ সংগঠনটি প্রচলিত সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থাকে অস্বীকার করে এবং বড় ধরনের অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে পারে। তৌহিদুর রহমানের গ্রেপ্তারের ফলে সংগঠনের কার্যক্রমে বড় ধাক্কা লাগতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ।

No comments

Powered by Blogger.