সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে, অন্যান্য পণ্য স্থিতিশীল

 সয়াবিন তেলের সংকট এখনও পুরোপুরি কাটেনি। সরবরাহের ঘাটতির সুযোগ নিয়ে কিছু ব্যবসায়ী ১৭৫ টাকা লিটারের তেল ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছেন। এমনকি অনেকে বোতলের তেল খুলে ড্রামে ঢেলে খুচরা বিক্রি করছেন, যা ক্রেতাদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে।

তবে অন্যান্য ভোগ্যপণ্যের ক্ষেত্রে তেমন মূল্য বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে না।

মাংস ও ডিমের বাজার

• ব্রয়লার মুরগি: ১৯০-২০০ টাকা/কেজি (পূর্বের তুলনায় ২০-৩০ টাকা কম)
• সোনালি মুরগি: ২৮০-৩১০ টাকা/কেজি
• ফার্মের ডিম: ১৩৫-১৪০ টাকা/ডজন

চিনি ও ডালের বাজার

• চিনি: ১১৫-১২০ টাকা/কেজি (আগে ছিল ১২৫-১৩০ টাকা)
• ছোলা: ১০৫-১১০ টাকা/কেজি (গত বছরের সমান)
• খেসারির ডাল: ১১০-১২০ টাকা/কেজি
• মসুর ডাল: ১২০-১৩০ টাকা/কেজি

মাছের বাজার

• পাঙ্গাশ: ১৮০-২০০ টাকা/কেজি
• তেলাপিয়া: ২০০-২২০ টাকা/কেজি
• রুই (২৫০-২৬০ গ্রাম): ২৫০-২৬০ টাকা/কেজি
• বড় রুই (৩৮০-৪০০ গ্রাম): ৩৮০-৪০০ টাকা/কেজি
• কৈ: ২২০ টাকা/কেজি
• ট্যাংরা: ৭০০-৭৫০ টাকা/কেজি
• গুলশা: ৮০০-৯০০ টাকা/কেজি

চালের বাজার

• মোটা চাল: বস্তাপ্রতি ১০০-১৫০ টাকা কমেছে
• চিকন চাল (মিনিকেট): দাম অপরিবর্তিত

সবজি ও অন্যান্য পণ্য

• পেঁয়াজ: ৪৫-৫০ টাকা/কেজি
• আলু: ২০ টাকা/কেজি
• দেশি আদা: ১২০-১৩০ টাকা/কেজি
• আমদানি করা রসুন: ২২০-২৩০ টাকা/কেজি
• শিম: ৩০-৬০ টাকা/কেজি
• ফুলকপি/বাঁধাকপি: ২৫-৩০ টাকা/পিস
• টমেটো: ২৫-৩০ টাকা/কেজি
• বেগুন: ৪০-৬০ টাকা/কেজি
• কাঁচা মরিচ: ৬০-৮০ টাকা/কেজি

বাজারের সার্বিক পরিস্থিতি

এবার রমজান উপলক্ষে বেশিরভাগ নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকলেও সয়াবিন তেলের সংকটের কারণে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বেশি দামে বিক্রি করছেন। তবে চাল, ডাল, চিনি এবং মাংসের বাজার কিছুটা স্বস্তিদায়ক। শীতকালীন সবজির সরবরাহ ভালো থাকায় এদের দামও তুলনামূলক কম।

বাজার পরিস্থিতি ক্রেতাদের জন্য কিছুটা স্বস্তিদায়ক হলেও সয়াবিন তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত অসন্তোষ থেকেই যাবে।