এমন বৃষ্টি আরও ক’দিন থাকবে, জানাল আবহাওয়া অফিস
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে গুঁড়ি গুঁড়ি থেকে শুরু করে মাঝারি ও ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। অনেক জায়গায় রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে, বেড়েছে জনদুর্ভোগ। তবে এতে কমেছে তাপমাত্রা। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এমন বৃষ্টিপাত আরও কয়েকদিন চলতে পারে, আর কিছু এলাকায় বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় রয়েছে এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে এটি প্রবল অবস্থায় আছে।
পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী, এমনকি অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে।
আবহাওয়ার সার্বিক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, লঘুচাপ কেন্দ্র ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সারা দেশের দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে, তবে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। পাঁচ দিনের মধ্যে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আরও বাড়তে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায়, অর্থাৎ মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে নীলফামারীর ডিমলায়—৩৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে কক্সবাজারে—১৫৫ মিলিমিটার।
ফেনীতে মৌসুমি বৃষ্টিতে ভোগান্তি
ফেনীতে সোমবার সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত টানা ভারী বৃষ্টিতে শহরের অধিকাংশ সড়ক হাঁটু পানির নিচে চলে গেছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ফেনী আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলার বিভিন্ন স্থানে গত দুইদিন ধরে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৩৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যা চলতি মৌসুমে দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।
ফেনী আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মো. মজিবুর রহমান জানান, আগামী ২-৩ দিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। এদিকে টানা বৃষ্টিতে জেলার মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ফেনী শাখার উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম জানিয়েছেন, মঙ্গলবার দুপুরের দিকে কহুয়া নদীর পানি বাঁধ উপচে লোকালয়ে ঢুকতে শুরু করেছে। তবে এখনো তা বিপৎসীমার নিচে রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর পরামর্শ দিয়েছে, জলাবদ্ধতা প্রবণ এলাকাগুলোর বাসিন্দারা সতর্ক থাকুন এবং স্থানীয় প্রশাসনের দিকনির্দেশনা অনুসরণ করুন।
No comments