সীমান্তে হত্যা বন্ধ না হলে লং মার্চ ঘোষণা হবে

                  
            

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, "সীমান্তে যদি আগ্রাসন চালানো হয়, তবে লং মার্চ ঘোষণা করা হবে। আমরা সীমান্তে আগ্রাসন মেনে নেব না এবং সীমান্ত রক্ষা করব। সীমান্তে প্রায়ই নিরীহ বাংলাদেশি হত্যা করা হয়, যা কাম্য নয়।"

রবিবার (৬ জুলাই) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে আয়োজিত এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, "দেশে মৌলিক সংস্কার প্রয়োজন। সব জেলা থেকে বৈষম্য দূর করতে হবে। আমরা একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ চাই। সেই স্বপ্নই আমরা দেখি। জনগণের বৈষম্যহীন বাংলাদেশের স্বপ্ন আমাদের কাছে আমানত। নতুন বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক দলকে বৈষম্য করার সুযোগ দেওয়া হবে না। বিচার এবং সংস্কার করতে হবে, এটাই আমাদের দাবি।"

তিনি বলেন, "গণ-অভ্যুত্থানের পর আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ চাই। গণ-অভ্যুত্থানের পর আমরা রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার এবং গণহত্যাকারীদের বিচার চাই। আমরা জুলাই ঘোষণাপত্র এবং জুলাই সনদ দাবি করছি।"

এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, "আমরা জুলাই অভ্যুত্থানের একটি বার্তা নিয়ে এসেছি, যা ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন দেখায়, একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখায়। আমরা সেই বাংলাদেশ গড়তে চাই।"

দলটির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের সঞ্চালনায় সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, "আমরা আর কোনো রাজনৈতিক বৈষম্য দেখতে চাই না। নতুন সংবিধান প্রয়োজন। জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন করতে হবে। আমরা এমন বাংলাদেশ গড়তে চাই যেখানে ভারত, আমেরিকা বা চীন কেউ আমাদের দিকে তাকাতে না পারে।"

দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাসনুভা জাবিন বলেন, "জনতাই ক্ষমতা। আমরা দেশকে এভাবেই গড়তে চাই। ভুল-ত্রুটি হতে পারে, সেগুলো আপনাদের সাহায্যে সংশোধন করব।"

সভায় আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সদস্য আসিফ মোস্তফা জামাল, জেলা সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী আলাউল হক। সভায় উপস্থিত ছিলেন মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা সহ শীর্ষ কেন্দ্রীয় নেতারা।

এর আগে দুপুর ২টায় কেন্দ্রীয় নেতারা চাঁপাইনবাবগঞ্জে জুলাই আন্দোলনের কেন্দ্রস্থল শহরের শান্তিমোড়ে পৌঁছে শহরের প্রধান সড়ক ধরে পদযাত্রা শুরু করেন। পদযাত্রাটি শহরের বাঁতেন খাঁর মোড়, নিমতলা মোড়, বড়ইন্দারা মোড়, গাবতলা মোড় ও প্রেস ক্লাবের সামনে দিয়ে সরকারি কলেজ মোড়ে শেষ হয়, যেখানে সভায় যোগ দেন। অনুষ্ঠানস্থলে আসার আগে নেতারা সড়কের বিভিন্ন স্থানে থেমে জনগণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। পদযাত্রা এবং মঞ্চ থেকেও তারা ছাত্র-জনতাকে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান। পরে নেতারা শহরের ক্লাব সুপার মার্কেটে দলটির জেলা কার্যালয় উদ্বোধন করেন।