চাঁদাবাজ-দখলবাজ নেতাদের ছাড় নয়, পুলিশের হাতে তুলে দেব

                  

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান বলেছেন, দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও দখলবাজির অভিযোগ প্রমাণিত হলে শুধুমাত্র দল থেকে বহিষ্কারই নয়, তাঁদেরকে পুলিশে সোপর্দ করা হবে।

শনিবার (৫ জুলাই) বিকেলে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার গড়বাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে কাঁকড়াজান ইউনিয়ন বিএনপির কর্মিসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আহমেদ আযম খান বলেন, ‘শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন, তবে যাওয়ার আগে দেশকে নিঃস্ব করে গেছেন। তাঁর শাসনামলে দেশের ওপর ১৭ বছরের এক কালো অধ্যায় নেমে এসেছিল। তিনি শুধু ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্র হরণ করেননি, দেশের সম্পদও লুট করে নিয়েছেন। ব্যাংক খালি করে ফেলা হয়েছে। সরকারি হিসেবে ২৮ লাখ কোটি টাকা লোপাট হয়েছে, যা প্রায় পাঁচ বছরের জাতীয় বাজেটের সমান। আর বেসরকারি হিসাবে প্রায় ৪০ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। এটি বিশ্ব ইতিহাসে বিরল, যেখানে একটি সরকারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় একটি দেশ লুট হয়ে যায়।’

বন বিভাগের সঙ্গে স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বন বিভাগের কর্মকর্তাদের স্পষ্ট করে জানিয়ে দিতে চাই—আপনারা যে জমিতে বনায়ন করতে চান, তা আপনাদের নয়। সেগুলো সখীপুরের মানুষের বসবাস ও চাষের জমি। শত শত বছর ধরে মানুষ সেখানে বাস করছে। আপনারা প্রকৃত বনাঞ্চলে বনায়ন করুন, আমরা সহযোগিতা করব। তবে বসবাসের জমিতে বনায়ন করতে দেওয়া হবে না।’

তিনি আরও বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সখীপুরবাসীর জন্য মরণফাঁদ হিসেবে বিবেচিত ‘আটিয়া বন অধ্যাদেশ ৮২’ বাতিলের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

কর্মিসভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান সাজু। এতে আরও বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বাছেত, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মীর আবুল হাশেম, এস এম সবুর রেজা, আকবর হোসেন, কাঁকড়াজান ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আমীর হামজা ও সদস্যসচিব মোজাম্মেল হক প্রমুখ।

সভায় স্থানীয় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।