ষড়যন্ত্রকারীরা যতই চেষ্টা করুক, তারা সফল হতে পারবে না
বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, যাদের ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হওয়ার যোগ্যতা নেই, তারাই এখন পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতির মাধ্যমে জাতীয় সংসদে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে। তবে এই স্বপ্ন কখনো বাস্তবায়ন হবে না। কারণ, এই পদ্ধতি দেশের জনগণের মতামতের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাজধানীর গুলশানে থানা বিএনপির আয়োজনে সদস্য ফরম বিতরণ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, “পিআর সিস্টেমে আপনি নিজেও জানবেন না কে হবেন আপনার সংসদ সদস্য। এটি অগণতান্ত্রিক এবং অস্বচ্ছ একটি পদ্ধতি, যা জনগণ কখনোই গ্রহণ করবে না।”
আমিনুল হক অভিযোগ করেন, কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী এবং নতুন রাজনৈতিক দল গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বিপন্ন করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তবে এসব ষড়যন্ত্র সফল হবে না বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি আরও বলেন, “জনগণের সরকারই আগামী নির্বাচনে প্রতিষ্ঠিত হবে। ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের পর তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।”
তারেক রহমানের নেতৃত্বেই ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ে উঠবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর থেকে আমরা স্বপ্ন দেখছি একটি শান্তিপূর্ণ, মানবিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার। তারেক রহমানের নেতৃত্বেই সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে।”
সদস্যপদ নবায়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “গত ১৭ বছর যারা দলের প্রতি একনিষ্ঠ থেকেছেন, মামলা-হামলা সত্ত্বেও আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন, তাদের সদস্যপদই নবায়ন করা হবে। যারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করেছেন, তারা সদস্যপদ নবায়নের সুযোগ পাবেন না।”
দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক করে আমিনুল হক বলেন, “যদি কেউ আওয়ামী লীগের দোসর বা সুবিধাবাদীদের সদস্যপদ নবায়ন করেন, তাহলে সেই দায় সংশ্লিষ্ট সংগ্রহকারীকেই নিতে হবে। দল এ বিষয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ অধীর আগ্রহে তারেক রহমানের দেশে ফেরার অপেক্ষায় আছে। খুব শিগগিরই তিনি দেশে ফিরবেন এবং তার নেতৃত্বেই দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা পাবে।”
অনুষ্ঠানে গুলশান থানা বিএনপির আহ্বায়ক এস এ মামুনের সভাপতিত্বে এবং সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শাহজাহান কবিরের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব হাজি মো. মোস্তফা জামান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপি নেতা ও বিশিষ্ট শিল্পপতি কামাল জামান মোল্লা।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, এবিএমএ রাজ্জাক, গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, আকতার হোসেন, আতাউর রহমান, এম কফিল উদ্দিন আহমেদ, মুহাম্মদ আফাজ উদ্দিন ও হাজী মো. ইউসুফ প্রমুখ।
No comments