ট্রাম্পকে প্রকাশ্যে আক্রমণ করলেন ইলন মাস্ক

 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনে ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সির (ডিওজিই) প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন প্রযুক্তি ও মহাকাশ খাতের আলোচিত উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক। গত সপ্তাহে তিনি হঠাৎ করেই পদত্যাগ করেন। আর তার পরপরই ট্রাম্পের নীতির বিরুদ্ধে সরব হলেন মাস্ক।

এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া এক পোস্টে মাস্ক ট্রাম্পের ট্যাক্স ও ব্যয়ের নতুন বিলকে 'জঘন্য অপকর্ম' বলে আখ্যায়িত করেন। করনীতির তীব্র সমালোচনা করে তিনি জানান, এই বিল মার্কিন অর্থনীতির জন্য ভয়ানক পরিণতি ডেকে আনবে।

গত মাসে মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে পাস হওয়া বাজেট পরিকল্পনায় ট্রিলিয়ন ডলারের ট্যাক্স ছাড়, বড় অঙ্কের প্রতিরক্ষা খরচ এবং সরকারকে আরও ঋণ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের নির্বাচনী প্রচারের অন্যতম প্রধান এজেন্ডা।

মাস্ক এক্স-এ লেখেন, “যারা এই বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছেন, তাদের জন্য লজ্জা হওয়া উচিত।”

যখন তিনি ডিওজিই প্রধান ছিলেন, তখনও বাজেট পরিকল্পনাটিকে ‘নিরাশাজনক’ বলে মন্তব্য করেছিলেন মাস্ক। তবে দায়িত্বে থাকাকালীন কখনোই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান নেননি।

পদত্যাগের সময় ট্রাম্প বলেছিলেন, “ইলন সবসময় আমাদের পাশে থাকবে, সবসময় সাহায্য করবে।” কিন্তু মাত্র ক’দিন পরেই মাস্কের মন্তব্য ট্রাম্পের সেই বক্তব্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

মঙ্গলবার এক্স-এ একাধিক পোস্টে মাস্ক বলেন, “এই পক্ষপাতমূলক ও অতিরঞ্জিত ব্যয় বিলের কারণে বাজেট ঘাটতি বেড়ে ২.৫ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। এর ফলে আমেরিকান নাগরিকদের ওপর বিশাল ঋণের বোঝা চেপে বসবে।”

তিনি আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে লেখেন, “আমরা আগামী বছরের নভেম্বরে সেই সব রাজনীতিবিদদের বরখাস্ত করব, যারা জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।”

এই অবস্থানে বোঝা যাচ্ছে, ট্রাম্প ও মাস্কের মধ্যে চলমান মতানৈক্য এখন আরও প্রকাশ্য এবং তীব্র রূপ নিয়েছে।