কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় ঘরে ঢুকে নারীকে ধর্ষণ
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় এক নারীকে ঘরে ঢুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এরপর ওই নারীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। পুরো ঘটনার ৫১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও শনিবার রাতে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে, যা দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়।
ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় তিনজনকে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। এর আগে শুক্রবার ধর্ষণের শিকার ওই নারী থানায় অভিযোগ করেন।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের অভিযোগে বাহেরচর পাচকিত্তা গ্রামের শহীদ মিয়ার ছেলে ফজর আলী (৩৮)-কে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন। তাকে ধরতে পুলিশের দুটি দল অভিযান চালাচ্ছে।
ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ, ঘটনার রাতে তার বাবা-মা বাড়িতে ছিলেন না। সেই সময় ফজর আলী তার ঘরের দরজায় এসে ডাকেন। তিনি দরজা না খুললে ফজর আলী জোর করে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন। তার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে ফজর আলীকে আটক করে মারধর করেন এবং ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন। পরে ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, ১০-১২ জন যুবক তাকে মারধর করছে, আর তিনি সাহায্যের জন্য চিৎকার করছেন। পুলিশের দাবি, ভিডিও ভাইরাল হওয়ার আগে কেউ নির্যাতনের বিষয়ে জানায়নি।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগী নারী হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্য। তার মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান। তিনি বলেন, “আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি ভিডিওটি যিনি বা যারা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খান এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, নারীকে নির্যাতনের ভিডিও ধারণ ও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
No comments