Header Ads

গাজার দিকে যাওয়া ত্রাণবাহী ‘ম্যাডলিন’ জাহাজ ইসরায়েলের দখলে

  

গাজার দিকে যাওয়া ত্রাণবাহী ‘ম্যাডলিন’ জাহাজ ইসরায়েলের দখলে

   

ইসরায়েলের নৌবাহিনী আন্তর্জাতিক অলাভজনক সংগঠন ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের (FFC) পরিচালিত ত্রাণবাহী “ম্যাডলিন” নামক জাহাজটি গাজার উপকূলে পৌঁছানোর আগেই আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে আটক করে আশদোদের বন্দরে নিয়ে যায়। জাহাজে ছিলেন ১২ জন আন্তর্জাতিক কর্মী, যাদের মধ্যে রয়েছেন ২২ বছর বয়সী সুইডিশ পরিবেশ কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ, ফরাসি চিকিৎসক বাপতিস্ত আন্দ্রে এবং আল জাজিরার সাংবাদিক ওমর ফায়াদ

ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক এক্সে পোস্ট করা ভিডিওতে জাহাজটিকে “সেলফি ইয়ট” বলেও উল্লেখ করেছে এবং দাবি করেছে, “সেলেব্রিটি ভর্তি” সরঞ্জামাদি ছাড়াও, যাত্রীরা নিরাপদে এই বন্দরে আনা হয়েছে; তাদের পানি–স্যান্ডউইচ সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে

তবে FFC বলছে, জাহাজ “অনৈতিকভাবে” আটক করা হয়েছে এবং ত্রাণ ও কর্মীদের “অপহরণ ও আটক” করা হয়েছে । তাদের হাতে থাকা খাদ্য ও ঔষধ “কনফিস্কেট” হয়ে গেছে বলে দাবি করা হচ্ছে

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক CAIR (কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশন্স) বলেছে, এই অভিযান “রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস” ও “আন্তর্জাতিক জলদস্যুতা” – পূর্ণ রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপের অংশ । একইসঙ্গে, রাটগার্স ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আদিল হক মন্তব্য করেছেন, সেলফি জাহাজ বলা “অপমানজনক আচরণ যা আন্তর্জাতিক আইনে যুদ্ধাপরাধের স্বরূপ” হতে পারে

জাতিসংঘের ফিলিস্তিন বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ফ্রানচেসকা আলবানিজে বলেছেন, “গাজার ওপর ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণের বৈধতা নেই। অবরোধ তুলে নিয়ে, গাজার মানুষের প্রতি সহায়তা দিতে হবে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, অভিযান চলাকালে জাহাজের ক্যাপ্টেনের সঙ্গে শেষ যোগাযোগে তার সতর্ক বার্তা ছিল—‘আরেকটি নৌকা আমাদের দিকে এগিয়ে আসছে’—এর পর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে


গাজায় হামলা অব্যাহত, ঈদুল আজহার তৃতীয় দিনে টানা বোমা হামলা

ঈদুল আজহার পরও ইসরায়েলি আগ্রাসন থামেনি; গাজার বিভিন্ন শহরে বোমা ঝড়েছে। অনাদোলু এজেন্সি জানাচ্ছে, রবিবারই (৮ জুন) ভয়াবহ হামলা চালানো হয়েছে; গাজার হাসপাতালগুলো মর্মান্তিক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালগুলোতে আসে ১০৮ মৃতদেহ ও ৩৯৩ আহত; তবে চিকিৎসাসেবা প্রদানে তারা অক্ষম। নতুন নিহতের পর মোট নিহতের সংখ্যা ৫৪,৮৮০ জন ছাড়িয়েছে এবং আহতের সংখ্যা প্রায় ১২৬,২২৭ জন––এর মধ্যে অনেকই এখন ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছে

ইসরায়েলি বিমান হামলা ও ভূমি অভিযান শুরু হয় ১৮ মার্চ। এরপর থেকে ৪,৬০৩ জন নিহত এবং ১৪,১৮৬ জন আহত হয়েছেন। জানুয়ারিতে যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর পরিস্থিতির তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পায়


আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও আইনি প্রশ্ন

  • CAIR বলছে, মিশনকে “রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস” এবং “আন্তর্জাতিক জলদস্যুতা” হিসেবে দেখছে

  • রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ‍্যাপক আদিল হক মন্তব্য করেছেন, এই আচরণ “যুদ্ধাপরাধ” হিসেবে বিবেচিত হতে পারে

  • জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি আলবানিজে বলছেন, অবরোধ তুলে মানবিক সাহায্য নিশ্চিত করা উচিত

No comments

Powered by Blogger.