বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর নাকি দিল্লি, তাহলে ঢাকার অবস্থান কত
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বিশ্বের অনেক শহরে বায়ুদূষণ দিন দিন বেড়ে চলেছে। মেগাসিটি ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যায় ভুগছে। প্রায়ই বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষস্থানে উঠে আসে ঢাকার নাম।
রোববার (৮ জুন) সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক আন্তর্জাতিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণ প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার (IQAir)-এর তথ্যমতে, এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (AQI) অনুযায়ী ঢাকার স্কোর ছিল ১৬০, যা “অস্বাস্থ্যকর” হিসেবে বিবেচিত হয়। এই স্কোর অনুযায়ী, ঢাকা বিশ্বের তৃতীয় দূষিত শহর হিসেবে তালিকায় ছিল।
সেই সময়ের শীর্ষ পাঁচ দূষিত শহরের তালিকা ছিল:
-
দিল্লি, ভারত – স্কোর: ১৬৭
-
সান্তিয়াগো, চিলি – স্কোর: ১৬৩
-
ঢাকা, বাংলাদেশ – স্কোর: ১৬০
-
জাকার্তা, ইন্দোনেশিয়া – স্কোর: ১৫২
-
আক্রা, ঘানা – স্কোর: ১৪২
(AQI স্কোর মাঝে মাঝে হালনাগাদ হওয়ায় কিছু বিভ্রান্তি দেখা যেতে পারে। অন্য এক পরিসংখ্যানে দিল্লির স্কোর ১৬৬, জাকার্তার ১৫৫, আর আক্রার ১৩৩ দেখা গেছে।)
AQI স্কোরের মানে কী?
একিউআই বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স সূচক বোঝায় কোন এলাকার বাতাস কতটা বিশুদ্ধ বা দূষিত। এই সূচকের ভিত্তিতে জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকিও নির্ধারণ করা হয়।
AQI স্কোর | মানে |
---|---|
০–৫০ | ভালো |
৫১–১০০ | সহনীয় |
১০১–১৫০ | সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর |
১৫১–২০০ | অস্বাস্থ্যকর |
২০১–৩০০ | খুবই অস্বাস্থ্যকর |
৩০১-এর বেশি | দুর্যোগপূর্ণ |
ঢাকার ১৬০ স্কোর হওয়ায় এটি পরিষ্কার যে এখানকার বাতাস সাধারণ মানুষের জন্যও অস্বাস্থ্যকর।
বায়ুদূষণের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে মানুষের মধ্যে স্ট্রোক, হৃদরোগ, শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসের ক্যানসার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ বাড়ছে। এর ফলে বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ৭০ লাখ মানুষ মারা যান।
সব বয়সের মানুষই বায়ুদূষণের ক্ষতিকর প্রভাবে ভোগে। তবে শিশু, বয়স্ক, অসুস্থ ব্যক্তি ও গর্ভবতী নারীদের জন্য এটি সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।
ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান কারণ
২০১৯ সালে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের যৌথ প্রতিবেদনে ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস চিহ্নিত করা হয়:
-
ইটভাটা
-
যানবাহনের ধোঁয়া
-
নির্মাণকাজের ধুলাবালি
বাংলাদেশে একিউআই স্কোর নির্ধারণ করা হয় ৫টি উপাদান ভিত্তিক:
-
PM10 (বড় বস্তুকণা)
-
PM2.5 (অতি সূক্ষ্ম বস্তুকণা)
-
NO₂ (নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড)
-
CO (কার্বন মনোক্সাইড)
-
SO₂ (সালফার ডাই অক্সাইড)
-
O₃ (ওজোন)
No comments