ঈদের আগের দিনেও গাজায় ইসরায়েলি তাণ্ডব অব্যাহত
পবিত্র ঈদুল আজহার আনন্দে মেতে ওঠার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত বিশ্বের মুসলমানরা। অনেক দেশেই ঈদের কেনাকাটা, পশু কোরবানির আয়োজনসহ শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। কিন্তু সেই আনন্দ থেকে বঞ্চিত ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার মানুষ। ঈদের আগে আরও তীব্র হয়েছে সেখানে ইসরায়েলি হামলা।
যখন মুসলমানরা কোরবানির পশু প্রস্তুত করছে, তখন গাজার মানুষ আপনজন হারানোর শোকে বিহ্বল। কারও বাবা, কারও সন্তান, কেউবা মা কিংবা প্রিয় বন্ধুর জানাজা পড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ঈদের নামাজ আদায় হবে কি না, কিংবা নামাজের জায়গায়ই কোনো বোমা পড়বে কি না — সেই আতঙ্ক নিয়েই ঈদের আগের দিন বৃহস্পতিবার (৫ জুন) ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরতা অব্যাহত রয়েছে।
বিভিন্ন এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠছে গাজা। নিহতের সংখ্যা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। বৃহস্পতিবার ঠিক কতজন প্রাণ হারিয়েছেন তা এখনো নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তবে আগের ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৯৯ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া হামলায় এখন পর্যন্ত ৫৪,৬০৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। শুধু বুধবারই হাসপাতালে এসেছে ৯৭টি মৃতদেহ এবং আহত হয়েছেন ৪৪০ জন। এই নিয়ে মোট আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১,২৫,৩৪১ জনে।
ধ্বংসস্তূপের নিচে ও রাস্তায় অনেক হতাহত এখনো আটকে আছেন। উদ্ধারকারীরা পৌঁছাতে না পারায় প্রকৃত নিহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।
এদিকে ১৮ মার্চ থেকে ইসরায়েল নতুন করে গাজায় আক্রমণ শুরু করে। এই সময়ের মধ্যে আরও ৪,৩৩৫ জনকে হত্যা এবং প্রায় ১৩,৩০০ জনকে আহত করেছে তারা। জানুয়ারিতে যে যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি হয়েছিল, তা ভেঙে যাওয়ার পর হামলার মাত্রা আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
বিশ্ব সম্প্রদায়ের বারবার আহ্বান উপেক্ষা করে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে চলছে এই গণহত্যা। শুধু গাজা নয়, অধিকৃত পশ্চিম তীরেও চলছে ধরপাকড়, বাড়িঘর ধ্বংসের অভিযান।
No comments