অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দুর্বল বললেন সারজিস, কিন্তু কেন?
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, নির্বাচনের আগে মৌলিক সংস্কার বাস্তবায়নের ব্যাপারে কোনো আপস করা হবে না। খুনিদের বিচার ও জুলাই ঘোষণাপত্র প্রদান নিয়েও ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে শক্তিশালী হিসেবে দেখতে চায় এনসিপি। যদি তারা নিজেদের দুর্বলভাবে উপস্থাপন করে, তবে তা হবে অভ্যুত্থানে শহীদদের রক্তের সঙ্গে বড় ধরনের প্রতারণা।
সোমবার (২৩ জুন) বিকেলে পঞ্চগড় চেম্বার ভবনে জাতীয় যুব শক্তির পঞ্চগড় সমন্বয় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
সারজিস আলম আরও বলেন, প্রথম সারির সাতটি দলের মধ্যে ছয়টি দল যখন একটি মৌলিক সংস্কার দাবিতে একমত হয়, তখন কোনো একটি দল যদি নিজেদের প্রাধান্য দেখাতে চায়, তাহলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে। তিনি বলেন, “আমরা আশা করি তারা দায়বদ্ধতা ভুলে যাবে না। একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আগে আমরা এই বাংলাদেশে জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র দেখতে চাই। একই সঙ্গে মৌলিক ও নির্বাচনকালীন সংস্কার এবং দৃশ্যমান বিচার দেখতে চাই।
ddddd
তিনি অভিযোগ করেন, অতীতে আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগ-যুবলীগকে চাঁদাবাজি, মাদক সিন্ডিকেট পরিচালনা, সাধারণ মানুষকে নির্যাতন এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হয়রানির কাজে ব্যবহার করেছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, নতুন বাংলাদেশে কোনো দল যদি একই আচরণ করে, তবে তার বিরুদ্ধেও অবস্থান নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, “জনগণের অভ্যুত্থানের পর আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ না হওয়ায় এনসিপি রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে এবং জাতীয় যুব শক্তি গঠিত হয়েছে। যারা স্বার্থন্বেষী নয়, তারাই এ যুব শক্তিতে যোগ দেবে। বর্তমানে সক্রিয় কোনো রাজনৈতিক দলকেই আমরা প্রতিপক্ষ মনে করি না, তবে কেউ অপকর্মে যুক্ত হলে, তখন তারা প্রতিপক্ষ হয়ে উঠবে। যারা চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত, তারা আর কোনো পরিচয়ে পরিচিত নয়। যদি কোনো দল তাদের পক্ষে দাঁড়ায়, সেই দলও চাঁদাবাজ হিসেবে চিহ্নিত হবে।”
তিনি সবাইকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, যারা চাঁদাবাজি বা অপকর্মে যুক্ত নন, তারা জাতীয় যুব শক্তিতে যোগ দিয়ে নতুন বাংলাদেশের জন্য কাজ করুন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় যুব শক্তির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তারিকুল ইসলামসহ এনসিপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
No comments