পটুয়াখালীর গলাচিপায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপির অঙ্গসংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) বিকেলে গলাচিপা শহরের সাব-রেজিস্ট্রি অফিসসংলগ্ন এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। পরে তা শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পৌরমঞ্চ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
এই বিক্ষোভের পেছনে ছিল নুরুল হক নুরের সাম্প্রতিক এক বক্তব্য। গত বুধবার (১১ জুন) গলাচিপা অফিসার্স ক্লাবে ছাত্রঅধিকার পরিষদের নবনির্বাচিত কমিটির পরিচিতি সভায় তিনি বলেন, ‘ছাত্রঅধিকার পরিষদের জন্ম না হলে ’২৪-এর গণঅভ্যুত্থান হতো না।’ একই সঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, ‘গলাচিপা-বন্যাতলী সড়কের কাজ বিএনপির একজন ঠিকাদার কাজ না করে ফেলে রেখেছেন, যার ফলে জনসাধারণ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।’
এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভ মিছিলটি গলাচিপা উপজেলা ভূমি অফিসের সামনে গেলে সেখানে নুরুল হক নুরের সমর্থকরা মোটরসাইকেল নিয়ে উপস্থিত হন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলেও পরে দুই পক্ষই বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
বিক্ষোভ শেষে পৌরমঞ্চে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খান, আব্দুস সালাম মৃধা এবং সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মশিউর রহমান শাহিন। তারা বলেন, ‘উক্ত সড়কের দায়িত্ব বিএনপির কোনো ঠিকাদারের নয়। এটি এক সময়কার পতিত স্বৈরশাসকের ঘনিষ্ঠ একজন ঠিকাদারের দায়িত্বে ছিল, যিনি কাজটি ফেলে রেখেছেন। এ দায় বিএনপি নেবে না।’
তারা আরও অভিযোগ করেন, নুরুল হক নুর বিভিন্ন সময় বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ও অপপ্রচার চালিয়ে সাধারণ নেতাকর্মীদের বিভ্রান্ত করছেন।
বিক্ষোভ ও সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপির সভাপতি ভিপি মো. মিজানুর রহমান, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিয়া মো. মাসুম বিল্লাহ, মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, আসাদুজ্জামান সবুজ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. মুশফিকুর রহমান, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক মো. সাগর খান, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, যুবদলের ১ নম্বর সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মঈন, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জাহিদুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. আলী জিন্নাহ, সদস্য সচিব ফজলুল হক শাকিল, ছাত্রদলের আহ্বায়ক দুর্জয় রুবেল এবং সদস্য সচিব সাব্বির আহম্মেদ প্রিতমসহ অনেকে।
No comments