Header Ads

চাঁদা দাবির অভিযোগে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানাল দুদক

         

চাঁদা দাবির অভিযোগে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানাল দুদক




দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন ও এক উপপরিচালকের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ তুলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি ফেসবুক পোস্টে দাবি করেন, মাহমুদা মিতু নামের এক চিকিৎসকের কাছে ১ লাখ টাকা দাবি করা হয়েছে। পোস্টের সঙ্গে তিনটি হোয়াটসঅ্যাপ কল রেকর্ডও সংযুক্ত করেন তিনি।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে প্রতিবাদ জানিয়েছে দুদক। কমিশনের পক্ষ থেকে উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম এক বিবৃতিতে বলেন, যাচাই-বাছাই না করে এমন মানহানিকর অভিযোগ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুদকের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা হয়েছে।

দুদকের ব্যাখ্যা ও পাল্টা অভিযোগ

দুদক জানায়, একটি প্রতারক চক্র দীর্ঘদিন ধরে কমিশনের চেয়ারম্যান, মহাপরিচালক বা অন্য কর্মকর্তার পরিচয়ে প্রতারণা করে আসছে। এসব প্রতারক মামলার অব্যাহতি বা অভিযোগ ক্লিয়ারেন্স দেওয়ার কথা বলে টাকা দাবি করে। এই চক্রের সঙ্গে দুদকের কোনো কর্মকর্তা জড়িত নয়। কমিশন ইতোমধ্যে এই চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে এবং বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করেছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই বিষয়ে দুদক ইতিপূর্বে গণমাধ্যমে বিবৃতি ও সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জনগণকে সতর্ক করেছে। আবারও সতর্ক করে বলা হচ্ছে, কেউ যেন প্রতারকদের ফাঁদে না পড়ে।

ভুল নম্বর ও ভুয়া কণ্ঠ

পোস্টে সংযুক্ত কল রেকর্ড বিষয়ে অনুসন্ধান চালায় দৈনিক কালবেলা। তাদের যাচাইয়ে দেখা গেছে, যেসব নম্বর থেকে কল করা হয়েছে এবং যাদের কণ্ঠ রেকর্ডে রয়েছে, তা দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেনের নয়।

হাসনাতের অভিযোগের ভাষ্য

‘স্বাধীন বাংলাদেশে দুদকের চা খাওয়ার বিল ১ লাখ টাকা’ শীর্ষক ফেসবুক পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ দাবি করেন, মাহমুদা মিতুর কাছে ১ লাখ টাকা দাবি করা হয়েছে দুদকের ডিজি ও ডিডি পরিচয়ে। তিনি প্রশ্ন তোলেন—যাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই, তাদের কাছ থেকেও যদি চাঁদা তোলা হয়, তাহলে আওয়ামী লীগ আমলে দুর্নীতিতে জড়িতদের থেকে কত টাকা নেওয়া হয়েছে?

তিনি আরও লেখেন, মাহমুদা সাহস করে ঘুষ দেননি এবং কথোপকথনের ভিডিও রেকর্ড করে রেখেছেন। তবে সাধারণ অনেক মানুষ হয়তো বাধ্য হয়ে এসব ‘চায়ের বিল’ দিয়েছেন।

হাসনাতের দাবি, সরকার পরিবর্তনের পর দুদকের মধ্যে যে পরিবর্তনের আশা ছিল, তা পূরণ হয়নি। বরং পুরনো রূপেই ফিরে গেছে কমিশন। তিনি বলেন, “আমরা নতুন বাংলাদেশ চাই, যেখানে আমলাতন্ত্রের বিষদাঁত আর কামড় বসাতে পারবে না।”

দুদকের মন্তব্য

দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) তানজীর আহমেদ বলেন, “এটি পুরোপুরি মিথ্যা অভিযোগ। কমিশন এ ধরনের কাজ করে না। আমরা একাধিকবার জনসচেতনতা বাড়াতে বিবৃতি দিয়েছি। যারা প্রতারণা করছে, তাদের গ্রেফতার করে মামলাও করা হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “কেউ যদি কোনো অপরাধ না করেন, তাহলে তারা ঘুষ দেওয়ার প্রস্তাব কেন গ্রহণ করবেন? ভবিষ্যতে যারা এসব প্রতারকের সঙ্গে লেনদেনে জড়াবে, তাদের বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান করা হবে।

No comments

Powered by Blogger.