লন্ডনে তারেক রহমান এর সঙ্গে সাক্ষাতের সম্ভাবনা কতটুকু?

  
   

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস চার দিনের সরকারি সফরে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি ও তাঁর সফরসঙ্গীরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।

সফরকালে অধ্যাপক ইউনূস ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে বাকিংহাম প্যালেসে সাক্ষাৎ করবেন। সেখানে তিনি রাজা চার্লসের হাত থেকে ‘কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ করবেন। এছাড়া তাঁর যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। তিনি চ্যাথাম হাউস আয়োজিত একটি সংলাপে অংশ নেবেন বলেও জানা গেছে।

এদিকে, লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সম্ভাব্য সাক্ষাৎ নিয়েও আলোচনা চলছে। সরকারের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, ১৩ জুন এই সাক্ষাৎ হতে পারে। বিএনপির একটি দায়িত্বশীল সূত্রও এ বিষয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছে। আজ রাতেই বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “তারেক রহমান দেশের একটি বড় রাজনৈতিক দলের নেতা। তাঁর সঙ্গে বৈঠক হলে তা দেশের জন্য ইতিবাচক বার্তা দিতে পারে। তবে এখনো নিশ্চিত নয়—বৈঠক আদৌ হবে কি না। বিষয়টি লন্ডনে গিয়ে পরিষ্কার হবে।”

এই সফরে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় যুক্তরাজ্যের সমর্থন অর্জনের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাবে। পাশাপাশি বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়েও গুরুত্ব দেবে বাংলাদেশ। সফর শেষে ১৪ জুন দেশে ফেরার কথা রয়েছে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের।