ফাঁস হলো ১৬০০ কোটি পাসওয়ার্ড: ইতিহাসের সবচেয়ে বড় তথ্য চুরির ঘটনা!
বিশ্বজুড়ে সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। কারণ, ইতিহাসের সবচেয়ে বড় তথ্য চুরির ঘটনা সামনে এসেছে। একটি ভয়াবহ ডেটা ব্রিচে ফাঁস হয়েছে ১৬ বিলিয়ন বা ১৬০০ কোটি লগইন তথ্য ও পাসওয়ার্ড। এতে ঝুঁকিতে পড়েছেন কোটি কোটি ব্যবহারকারী—সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং বড় বড় প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্মের গ্রাহকেরা।
ফোর্বসের প্রতিবেদন ও গবেষকদের অনুসন্ধান
শুক্রবার (২০ জুন) মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক প্ল্যাটফর্ম Cybernews-এর গবেষকেরা ২০২৫ সালের শুরু থেকেই এই ব্যাপক তথ্য ফাঁসের বিষয়টি তদন্ত করছিলেন। তারা নিশ্চিত করেছেন, এটি এখন পর্যন্ত রেকর্ড করা সবচেয়ে বড় তথ্য চুরির ঘটনা।
ফোর্বসের প্রতিবেদক ও সাইবার নিরাপত্তা বিশ্লেষক ডেভি উইন্ডার জানিয়েছেন, এই ডেটা চুরির ফলে প্রায় সব বড় অনলাইন সেবা ও প্ল্যাটফর্মই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনায় রয়েছে।
ফাঁস হওয়া প্ল্যাটফর্মগুলো কারা?
ফাঁস হওয়া ডেটার মধ্যে রয়েছে ফেসবুক, গুগল, অ্যাপল, টেলিগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট, গিটহাবসহ বিশ্বের শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবহারকারীর সংবেদনশীল তথ্য। শুধু ফেসবুকেই সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩০০ কোটির বেশি। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, কয়েক শ’ কোটি মানুষ এই ঘটনার শিকার হতে পারেন।
৩০টি বড় ডেটাসেটের সন্ধান
গবেষকেরা জানিয়েছেন, তারা ৩০টি বড় ডেটাসেটের হদিস পেয়েছেন, যেগুলোর প্রতিটিতেই ১ কোটির বেশি থেকে শুরু করে ৩৫০ কোটির বেশি লগইন তথ্য রয়েছে। এসব তথ্যের মধ্যে রয়েছে:
-
সোশ্যাল মিডিয়া লগইন
-
ভিপিএন ও ডেভেলপার টুলের অ্যাকসেস
-
কর্পোরেট প্ল্যাটফর্ম
-
সরকারি পোর্টালের ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড
এই বিশাল আকারের চুরির ঘটনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন গবেষক ভিলিয়াস পেটকাউসকাস। তিনি জানিয়েছেন, এই ১৬০০ কোটি তথ্য পুরনো কোনো ডেটা ব্রিচ নয়—সবকিছুই ২০২৫ সালে চুরি হয়েছে।
তথ্য চুরি হলো কীভাবে?
চুরি হওয়া বেশিরভাগ তথ্যই হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে ম্যালওয়্যার ব্যবহার করে। ব্যবহারকারীর অজান্তে ডিভাইসে ইনস্টল হওয়া ক্ষতিকর সফটওয়্যার ইউজারনেম, পাসওয়ার্ডসহ গোপন তথ্য সংগ্রহ করেছে।
চুরি হওয়া তথ্যের মধ্যে রয়েছে:
-
ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট তথ্য
-
ব্যাঙ্কিং ও কার্ড সংক্রান্ত তথ্য
-
সরকারি প্ল্যাটফ
No comments