Header Ads

অজান্তেই প্রতিদিনের যেসব অভ্যাস ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়

        
          

অজান্তেই প্রতিদিনের যেসব অভ্যাস ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়


ডায়াবেটিস হলে মিষ্টি খাওয়া একেবারে বারণ। কারণ, মিষ্টি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায়। তাই চিকিৎসকেরা বলেন, ডায়াবেটিস ধরা পড়ার আগেই মিষ্টি খাওয়া কমিয়ে দিতে হবে। যদিও শুধু মিষ্টি খাওয়াই ডায়াবেটিসের একমাত্র কারণ নয়।

প্রতিদিনের কিছু সাধারণ অভ্যাসও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়, যা আমরা প্রায়ই অজান্তেই করে থাকি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে এমনই কিছু অভ্যাসের কথা—

১. সকালের নাশতা বাদ দেওয়া
অনেকেই অফিস বা কাজের তাড়ায় সকালে না খেয়েই বেরিয়ে পড়েন। কিন্তু দীর্ঘ সময় পেটে কিছু না থাকলে ইনসুলিন হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। তাই প্রতিদিন নিয়ম করে পুষ্টিকর সকালের নাশতা খাওয়া খুবই জরুরি।

২. কম ঘুম
অপর্যাপ্ত ঘুম শরীরের হরমোন ভারসাম্যে সমস্যা তৈরি করে এবং তা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। প্রতিদিন ৭–৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। ঘুম কম হলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে, পাশাপাশি বাড়ে অন্যান্য স্বাস্থ্যঝুঁকিও।

৩. দীর্ঘ সময় বসে থাকা
যাঁরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা এক জায়গায় বসে কাজ করেন, তাঁদের মধ্যে ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা বেশি। শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই অফিসে কাজের ফাঁকে ফাঁকে উঠে কিছুক্ষণ হাঁটাচলা করুন এবং নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস গড়ুন।

৪. ধূমপান
গবেষণায় দেখা গেছে, ধূমপানের সঙ্গে টাইপ–২ ডায়াবেটিসের সরাসরি যোগ রয়েছে। ধূমপান ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়, ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। তাই সুস্থ থাকতে ধূমপান সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করুন।

৫. মানসিক চাপ
অতিরিক্ত মানসিক চাপ শরীরের হরমোন নিঃসরণে প্রভাব ফেলে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে। কাজের চাপ বা পারিবারিক টানাপোড়েন থেকে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। নিয়মিত ধ্যান, যোগব্যায়াম, কিংবা প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটানো মন ভালো রাখতে সহায়ক এবং তা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।

শেষ কথা
শুধু খাবারের ওপর নিয়ন্ত্রণ নয়, বরং দৈনন্দিন জীবনযাপনে কিছু সাধারণ পরিবর্তন এনে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব। সময়মতো খাওয়া, ঘুম, ব্যায়াম ও মানসিক শান্তি—এই চারটি অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে সুস্থ থাকা সহজ হয়।

No comments

Powered by Blogger.