পতিত আওয়ামী লীগ থেকে আসা চাঁদাবাজ ও দখলদাররা বিএনপিতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে
পতিত আওয়ামী লীগ থেকে আগত কিছু অসাধু ও অনৈতিক ব্যক্তি বিএনপির নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি, দখলবাজি, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়ানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক।
বুধবার (২৫ জুন) আদাবর ও দারুসসালাম থানা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত সদস্য ফরম বিতরণ ও নবায়ন কর্মসূচির দুটি পৃথক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি কখনোই চাঁদাবাজ, দখলবাজ, লুটপাটকারী বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্তদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয় না। যারা এসব কাজে জড়িত, তারা বিএনপির কর্মী হতে পারে না। তারা আমাদের আদর্শ ও চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
আমিনুল হক আরও বলেন, আওয়ামী লীগ গত ১৭ বছরে যা করেছে, বিএনপি সেই পথ অনুসরণ করবে না। বিএনপি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে গড়ে ওঠা একটি গণতান্ত্রিক দল। আমাদের নেতাকর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে সরকারের নিপীড়ন ও জুলুমের বিরুদ্ধে সংগ্রামে থেকে নিজেদের প্রমাণ দিয়েছে।
তিনি জানান, আগামী ফেব্রুয়ারিতে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে—এই ঘোষণায় একটি দলের গায়ে আগুন লেগেছে। তারা এখন নির্বাচন পেছাতে নানা ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে।
সদস্য নবায়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যদি আওয়ামী ঘরানার কেউ বা স্বৈরাচারের দালালরা সদস্য হয়ে পড়ে, তাহলে তার দায় সংশ্লিষ্ট সংগঠককে নিতে হবে। আমরা আন্দোলনে পরীক্ষিত নেতাকর্মীদেরই মূল্যায়ন করব।
তিনি বলেন, বিএনপির তৃণমূলকে আরও সুসংগঠিত করতে হলে ভালো, যোগ্য ও নৈতিকভাবে দৃঢ় নেতাদের দরকার। সামনের দিনগুলোতে এমন নেতৃত্বের বিকল্প নেই।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দারুসসালাম থানা বিএনপির আহ্বায়ক এসএ সিদ্দিক সাজু এবং আদাবর থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক সাদেক হোসেন স্বাধীন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম ও আতাউর রহমান ঢালী, মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তফা জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, এবিএমএ রাজ্জাক (দপ্তর দায়িত্বপ্রাপ্ত), গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, মুহাম্মদ আফাজ উদ্দিন, হাজি মুহাম্মদ ইউসুফ, মো. শাহ আলম, মাহাবুব আলম মন্টু প্রমুখ।
No comments