Header Ads

প্রধান উপদেষ্টা মিষ্টি হাসি দিয়ে বিদায় করেন

 

প্রধান উপদেষ্টা মিষ্টি হাসি দিয়ে বিদায় করেন


নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস কোনো ধরনের জবাবদিহি করেন না। জনগণের প্রশ্নের মুখোমুখি হলেও তিনি সোজাসাপ্টা উত্তর দেন না। বরং, সামনাসামনি আলোচনার সময় হয়তো মিষ্টি একটি হাসি দিয়ে বিদায় দেন, নয়তো একেবারেই কিছু বলেন না।

৩ জুন, মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত ‘গণহত্যার বিচার, রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মান্না বলেন, “আমরা রক্ত দিয়ে, জীবন দিয়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছি। কিন্তু ১০ মাসও পেরোয়নি, মানুষ এখন প্রশ্ন করছে—ভোট আদৌ হবে কি না। এটা খুবই হতাশাজনক।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা মনে করি, ড. ইউনূস আমাদের নির্ভরতার একটি জায়গা। কিন্তু সম্প্রতি তিনি বলেছেন—‘শুধু একটি দল নির্বাচন চায়’। এটি কি তার মতো একজন মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাশিত ছিল? তিনি নিশ্চয় জানতেন যে, ইতিমধ্যে ৩০টিরও বেশি দল ডিসেম্বরের মধ্যে ভোট চেয়েছে। অথচ তার এই বক্তব্যের কোনো ব্যাখ্যা দেননি তিনি।”

মান্না জানান, প্রধান উপদেষ্টা অন্তত পাঁচবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে বৈঠকে ডেকেছেন। বৈঠকের শুরুতে তিনি বলেন, এমন আলোচনায় তিনি ভালো অনুভব করেন এবং হতাশার সময় এসব বৈঠক তাকে ভাবনার নতুন দিক দেয়। কিন্তু এসব আলোচনায় তিনি রাষ্ট্র সংস্কার, গণতন্ত্র বা সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে কিছু বলেননি।

তিনি প্রশ্ন তোলেন, “বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের কথা বলেছে। তাহলে বড় কোনো দলই জুনে নির্বাচনের পক্ষে না। তাহলে কেন এমন প্রতিকূল আবহাওয়ায় ভোটের কথা উঠছে?”

মান্না আরও বলেন, “আমাদের চারপাশে যেসব দেশ স্বৈরাচারকে আশ্রয় দিচ্ছে, মদদ দিচ্ছে, তাদের ভূমিকা অত্যন্ত অ্যালার্মিং। তারা পুশ-ইনও চালাচ্ছে। এই পুশ-ইন পরিস্থিতি একসময় যুদ্ধাবস্থা তৈরি করতে পারে। এ কারণে রাজনৈতিক নেতাদের, বিশেষ করে ক্ষমতাসীনদের আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা নিতে হবে।”

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের সভাপতিত্বে এবং সহসভাপতি ফারুক হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিভ রহমান পার্থ, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, এলডিপির মহাসচিব রেদওয়ান আহমেদ, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফওজুল হাকিম এবং গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।

No comments

Powered by Blogger.