Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)
ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতমার বেন গাভির সম্প্রতি এক বিতর্কিত সিদ্ধান্তে আল আকসা মসজিদ চত্বরে ইহুদিদের প্রার্থনার অনুমতি দিয়েছেন। এর ফলে এই পবিত্র স্থানটির ওপর মুসলমানদের ঐতিহাসিক নিয়ন্ত্রণ হারানোর আশঙ্কা জেগেছে।
রয়টার্সের ২৬ মে’র প্রতিবেদনে বলা হয়, বেন গাভির নিজে ‘টেম্পল মাউন্ট’ পরিদর্শনের সময় ঘোষণা দেন যে, এখন থেকে ইহুদিরা আল আকসায় সেজদা দেওয়াসহ সবধরনের প্রার্থনা করতে পারবেন। তিনি বলেন, “অনেক ইহুদি এখানে ভিড় করছেন, এটা আনন্দের বিষয়। আজ ঈশ্বরের কৃপায় এখানে প্রার্থনা সম্ভব হয়েছে।”
মুসলিমদের তৃতীয় পবিত্র স্থান হিসেবে স্বীকৃত আল আকসা মসজিদে এতদিন শুধু মুসলমানদের ইবাদতের অনুমতি ছিল। ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে জয়ের পর পূর্ব জেরুজালেমসহ ওল্ড সিটি ইসরায়েল দখল করে নেয়। দখলের আগ পর্যন্ত এ এলাকা জর্ডানের নিয়ন্ত্রণে ছিল।
যদিও ইসরায়েল দখল নেয়ার পরেও মসজিদটি পরিচালনার দায়িত্ব ছিল জর্ডানের ওয়াকফ বোর্ডের হাতে, এবং দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এক চুক্তি অনুযায়ী সেখানে ইহুদিদের প্রবেশের অনুমতি থাকলেও প্রার্থনা করার অনুমতি ছিল না। বেন গাভিরের এই সিদ্ধান্ত সেই দীর্ঘস্থায়ী চুক্তিকে অগ্রাহ্য করেছে বলে অনেকের মত।
ঘটনার দিনে হাজার হাজার ইহুদি টেম্পল মাউন্ট ঘিরে ইসরায়েলি পতাকা নিয়ে মিছিলে অংশ নেন। তাদের আগমনের আগেই ফিলিস্তিনি দোকানদাররা নিরাপত্তার আশঙ্কায় দোকান বন্ধ করে দেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, যেসব দোকান তখনও খোলা ছিল, সেগুলোর মালিকদের ইহুদি মিছিলকারীরা হয়রানি করেন, ফলে বাধ্য হয়ে সবাই দোকান বন্ধ করে দেন।
ফিলিস্তিনিরা পূর্ব জেরুজালেমকে তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে বিবেচনা করে। কিন্তু ইসরায়েলের এই সাম্প্রতিক পদক্ষেপে নতুন করে উত্তেজনা ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ধরনের সিদ্ধান্ত কেবল ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলবে এবং পবিত্র স্থানগুলোর স্থিতিশীল ব্যবস্থাপনায় মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।
No comments