Header Ads

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ঘোষণার পর শাহবাগে আনন্দ মিছিলের ডাক


আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ঘোষণার পর শাহবাগে আনন্দ মিছিলের ডাক


 সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সকল রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হবে—এই ঘোষণার পর রাজধানীর শাহবাগে আনন্দ মিছিল করার ডাক দেওয়া হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

শাহবাগের অবস্থান কর্মসূচি শেষ করে তিনি সবাইকে নিজ নিজ বাসায় ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এনসিপি’র অন্যান্য নেতাদের পাশাপাশি ইসলামী ছাত্রশিবির, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিনিধিরা।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “আমরা দেখেছি, দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের বিচার নিয়ে নানা রকম টালবাহানা করা হয়েছে। যারা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত, তাদের জন্য নিরাপদ প্রস্থান (সেফ এক্সিট) নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছিল। এমনকি সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকেও সেই সুবিধা দেওয়া হয়েছে। অথচ বিপ্লবী আহত যোদ্ধারা আজও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।”

তিনি আরও বলেন, “সরকারের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর আগে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার করার কোনো আইনগত সুযোগ ছিল না, এখন সেই বিধান সংযুক্ত করা হয়েছে। এটা একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ, কিন্তু পর্যাপ্ত নয়।”

হাসনাত বলেন, পিলখানা হত্যা, শাপলা চত্বর গণহত্যা, গুম, ধর্ষণসহ নানা অপরাধে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগের বিচার এখনো দীর্ঘসূত্রতায় আটকে আছে। জুলাই বিপ্লবের যোদ্ধাদের অনেক মামলা থানা নিতেও চাইছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, “দেশের বিভিন্ন এলাকায় এমনকি রাজধানীতেও জুলাই বিপ্লবীদের ওপর হামলা হচ্ছে। বিচার বিভাগের নিয়োগেও দলীয় আনুগত্য এবং স্বজনপ্রীতির ছাপ স্পষ্ট, ফলে ভুক্তভোগীরা প্রকৃত বিচার পাবে কি না তা নিয়ে আমাদের সন্দেহ রয়েছে।”

সরকার ৩০ দিনের মধ্যে "জুলাই ঘোষণাপত্র" তৈরি ও বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিলেও, এনসিপি ও এর মিত্র সংগঠনগুলো তা পর্যবেক্ষণ করবে বলেও জানান হাসনাত।

তিনি বলেন, “রবিবার সরকারি ছুটি। সোমবার প্রজ্ঞাপন জারি হবে—এটা আমাদের জানানো হয়েছে। সেদিন আমরা আনন্দ মিছিল করব।”

স্বৈরাচার বরদাশত করা হবে না: মামুনুল হক

অন্যদিকে, একই রাতে শাহবাগে উপস্থিত হন হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হক। তিনি বলেন, “বাংলার ছাত্র ও জনতা ভবিষ্যতে আর কোনো স্বৈরাচারী শক্তিকে রাজনীতিতে বরদাশত করবে না।”

তিনি সতর্ক করে বলেন, “মানুষের মনে শঙ্কা ছিল, হয়তো আবারও ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। কিন্তু শহীদদের রক্ত আর তাঁদের পরিবারের কান্নার সামনে শেখ হাসিনার মতো নেতাদের স্বৈরাচারী রাজনীতি আর সফল হবে না।”

No comments

Powered by Blogger.