Header Ads

আপনাদের শেষ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে: ইশরাক হোসেন

 

আপনাদের শেষ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে: ইশরাক হোসেন


বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ইশরাক হোসেন বলেছেন, বর্তমান সরকারকে শেষ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে—তাদের এখনই নিজেদের সংশোধন করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) তিনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনে এক বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন। এসময় তিনি সরকারের সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, "সরকার একজন মেয়রকে শপথ করাতে ব্যর্থ হয়েছে। তাহলে তারা কীভাবে ৩০০ এমপিকে শপথ করাবে?"

আদালতের সিদ্ধান্ত ও আইনি প্রক্রিয়ার হালচাল

ইশরাক হোসেনকে ডিএসসিসির মেয়র হিসেবে শপথ গ্রহণ করানো হবে কি না—এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত সদস্যের আপিল বেঞ্চ এই পর্যবেক্ষণ দেন। আদালত একইসঙ্গে ইশরাকের শপথ আটকে রাখার আবেদন নিষ্পত্তি করে দেয়।

গত বুধবার (২৮ মে) হাইকোর্ট যে আদেশে ইশরাককে শপথ নিতে বাধা না দেওয়ার পক্ষে রায় দেয়, সেই আদেশের বিরুদ্ধে ‘লিভ টু আপিল’ শুনানি হয়। সেখানে ইশরাকের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। রিটকারীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হোসেন।

এর আগে, ২২ মে হাইকোর্ট রিটকারী আইনজীবী মামুনুর রশিদের আবেদন সরাসরি খারিজ করে দেন। বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালত মন্তব্য করেন, মামুনুর রশিদের এই ধরনের রিট করার এখতিয়ার নেই।

তবে, সেই আদেশের বিরুদ্ধে ২৭ মে আপিল বিভাগে আবেদন করেন মামুনুর রশিদ। তিনি হাইকোর্টের আদেশ স্থগিতের আবেদন করেন, যা বর্তমানে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।

পেছনের প্রেক্ষাপট

২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ডিএসসিসি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র নির্বাচিত হন। ২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করে।

তবে বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেন ভোটে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ২০২০ সালের ৩ মার্চ আদালতে মামলা করেন। দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে, চলতি বছরের ২৭ মার্চ ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল ইশরাককে মেয়র হিসেবে ঘোষণা করেন।

এই রায়ের ভিত্তিতে ২৭ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করে। এরপর হাইকোর্টে রায় ও গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করা হয়, যা প্রাথমিকভাবে খারিজ হয়।

বর্তমানে সেই আদেশের বিরুদ্ধে করা আপিল শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ বেড়েছে। ইশরাক হোসেনের কঠোর ভাষার বক্তব্য এবং আদালতের সিদ্ধান্তগুলোর দিকে এখন সবার নজর। সরকারের কী পদক্ষেপ হবে এবং নির্বাচন কমিশনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কী হবে—তা দেখার অপেক্ষায় দেশবাসী।

No comments

Powered by Blogger.