এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি কখন , জানা গেল নির্দিষ্ট সময়
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার (২৭ মে) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এই রায় দেন।
এ রায়ের পর আইনজীবী মোহাম্মাদ শিশির মনির জানিয়েছেন, এটিএম আজহারুল ইসলাম আগামীকাল বুধবার (২৮ মে) মুক্তি পাচ্ছেন। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন আছেন।
মোহাম্মাদ শিশির মনির নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে জানান, “ইনশাল্লাহ, আশা করছি আগামীকাল সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে জনাব এটিএম আজহারুল ইসলাম হাসপাতালের প্রিজন সেল থেকে মুক্তি পাবেন।”
প্রতিক্রিয়ায় এটিএম আজহার
এর আগে সকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আপিল বিভাগের রায়ে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পাওয়ার পর এটিএম আজহারুল ইসলাম আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। দীর্ঘ প্রায় এক দশক পর এই রায় তার মুক্তির পথ খুলে দেয়।
মামলার পটভূমি
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রংপুর অঞ্চলে গণহত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ, নির্যাতন, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগসহ মোট ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধে নয়টি অভিযোগ আনা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে।
২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এটিএম আজহারকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। বিশেষ করে ২, ৩ ও ৪ নম্বর অভিযোগে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়। এছাড়া ৫ নম্বর অভিযোগে ২৫ বছরের এবং ৬ নম্বর অভিযোগে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
এরপর আপিল বিভাগে শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর চার বিচারপতির একটি বেঞ্চ মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। সেখানে ২, ৩, ৪ (সংখ্যাগরিষ্ঠ মত অনুযায়ী) ও ৬ নম্বর অভিযোগে দণ্ড বহাল রাখা হয় এবং ৫ নম্বর অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হয়।
২০২০ সালের ১৫ মার্চ সেই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে একই বছরের ১৯ জুলাই এটিএম আজহার রিভিউ আবেদন করেন, যেখানে ২৩ পৃষ্ঠার আবেদনে ১৪টি যুক্তি তুলে ধরা হয়।
শুনানি শেষে ২০২৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ তাকে আপিলের অনুমতি দেন। এরপর নিয়ম অনুযায়ী আপিল করা হয় এবং অবশেষে ২৭ মে তিনি মৃত্যুদণ্ড থেকে পুরোপুরি খালাস পান।
No comments