যুদ্ধবিরতিতে উল্লাসে মেতেছে পাকিস্তান, চলছে মিষ্টি বিতরণ
আজ শনিবার ভারত ও পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছে। সামরিক উত্তেজনার মধ্যে এই শান্তির উদ্যোগ দু’দেশের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা হিসেবে দেখা হচ্ছে। যুদ্ধবিরতির খবরে পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরের মানুষ আনন্দে রাস্তায় নেমে এসেছে। চলছে মিষ্টি বিতরণ ও স্লোগানধ্বনি।
আল জাজিরার লাইভ আপডেটে জানানো হয়েছে, পাকিস্তানের বহু শহরের মানুষ “পাকিস্তান জিন্দাবাদ” স্লোগানে মুখর হয়ে যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানাচ্ছে। তারা বলছে, এটি জাতীয় গর্বের মুহূর্ত এবং বহুদিন পর এক স্বস্তির নিঃশ্বাস।
লাহোরের বাসিন্দা মোহাম্মদ ফতেহ বলেন, “আজ আমাদের জন্য বড় দিন। আমাদের সেনাবাহিনী সাহসিকতার সঙ্গে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। ভারতের জন্য যুদ্ধবিরতি ছাড়া আর কোনো পথ খোলা ছিল না।”
ইসলামাবাদের গৃহবধূ জুবাইদা বিবি বলেন, “যুদ্ধ কেবল দুঃখ আর কষ্ট ডেকে আনে। শান্তির এই খবরে আমি খুব খুশি। আমার মনে হচ্ছে আজ ঈদ এসেছে। এটা আমাদের বিজয়।”
পাক-শাসিত কাশ্মীরের রাজধানী মুজাফ্ফরাবাদের বাসিন্দারাও যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাদের মতে, এই চুক্তি তাদের জন্য স্বস্তি ও নিরাপত্তা নিয়ে আসবে।
স্থানীয় বাসিন্দা জুলফিকার আলী বলেন, “শান্তিই আমাদের বেঁচে থাকার শর্ত। আমরা অনেক কষ্ট সহ্য করেছি। এখন সময় হয়েছে স্বস্তির। পাকিস্তান ও ভারতের এই সিদ্ধান্ত প্রশংসার যোগ্য।”
এই শান্তিচুক্তির পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজের ট্রুথ সোশ্যালে তিনি ঘোষণা দেন, “দীর্ঘ রাতব্যাপী আলোচনার পর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তান একটি পূর্ণাঙ্গ এবং তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছে। উভয় দেশকে তাদের সাধারণ জ্ঞান ও বিচক্ষণতার জন্য অভিনন্দন।”
পরে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর পৃথক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেন, দু’দেশ আজ একযোগে গুলিবর্ষণ ও সামরিক পদক্ষেপ বন্ধে সম্মত হয়েছে।
এই শান্তির ঘোষণাকে অনেকেই ভবিষ্যতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে দেখছেন। এখন সকলের প্রত্যাশা—এই যুদ্ধবিরতি যেন স্থায়ী শান্তির দিকে নিয়ে যায়।
No comments