Header Ads

ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে ইসরায়েল

 

ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে ইসরায়েল



ইসরায়েলের জেরুজালেম শহরের পাশের এলাকায় ভয়াবহ দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। এর ফলে বুধবার বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়ক।

আবহাওয়ার শুষ্কতা ও প্রবল বাতাসের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে অগ্নিনির্বাপণকর্মীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর যে, ইসরায়েল আন্তর্জাতিক সহায়তা চেয়েছে।

এই দাবানলে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছেন। তবে কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।

‘জাতীয় জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কার্তজ বলেছেন, এই সংকট মোকাবিলায় তারা আন্তর্জাতিক সাহায্যের জন্য অনুরোধ করেছেন। তিনি বলেন, “আমরা এখন জাতীয় জরুরি অবস্থায় আছি।”

জেরুজালেমের ফায়ার সার্ভিসের প্রধান শমুলিক ফ্রিডম্যান জানান, এটি ইসরায়েলের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ দাবানল হতে পারে। তিনি সতর্ক করেন, ঘন্টায় ৬০ মাইল গতিতে বাতাস বইতে পারে, যা পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলছে।

পরিবহন ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ব্যাহত

দাবানলের কারণে তেল আবিব ও জেরুজালেমকে সংযুক্তকারী প্রধান সড়ক ‘রুট ১’ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, ধোঁয়ার মধ্যে মানুষজন সড়কের পাশ দিয়ে হাঁটছে।

এছাড়া জরুরি সেবাকর্মীরা রাস্তার পাশে পড়ে থাকা পরিত্যক্ত গাড়িগুলো তল্লাশি করছেন, কেউ আটকে রয়েছেন কি না তা নিশ্চিত করতে।

আগুন লাগার কারণ এখনো অজানা

কমান্ডার ফ্রিডম্যান জানিয়েছেন, এখনো আগুনের সূত্রপাত কোথা থেকে তা জানা যায়নি। আগুন একাধিক জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে জেরুজালেম থেকে ১৫ মাইল পশ্চিমের ‘নেভে শালম’ শহরের আশপাশে আগুন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।

একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, সড়কের পাশে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে, আর সেই সড়কে গাড়ির দীর্ঘ সারি আটকে আছে।

অগ্নিসংযোগের চেষ্টার অভিযোগে একজন গ্রেপ্তার

ইসরায়েলি পুলিশ জানিয়েছে, তারা এক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেছে, যিনি একটি খোলা মাঠে আগুন লাগানোর চেষ্টা করছিলেন। তার কাছ থেকে একটি লাইটার, তুলা ও অন্যান্য দাহ্য বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি পূর্ব জেরুজালেমের উম তুবা এলাকার বাসিন্দা এবং তার বয়স ৫০ বছর।

আন্তর্জাতিক সহায়তা ও হাসপাতালের প্রস্তুতি

পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদন সার ইতালি ও মেসিডোনিয়াসহ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং উড়োজাহাজ সহায়তা চেয়েছেন। ইতোমধ্যে তিনটি বিমান ইসরায়েলে পৌঁছাতে চলেছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের কর্মকর্তারা।

ইসরায়েলের ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ সার্ভিস জানিয়েছে, প্রায় ১২০টি দল এবং ১২টি বিমান ও হেলিকপ্টার আগুন নেভাতে কাজ করছে।

চিকিৎসা সেবা ও হাসপাতালের সতর্কতা

শামির ও কপলান মেডিকেল সেন্টারে অন্তত ১২ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। হাদাসা মেডিকেল সেন্টার সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যেন কেউ হাসপাতালে না আসে। যেসব রোগীর অবস্থা গুরুতর নয়, তাদের স্থানান্তর করা হচ্ছে, যাতে দাবানলে আহতদের চিকিৎসা দেওয়া যায়।

No comments

Powered by Blogger.