Header Ads

শাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলত

 

শাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলত



শাওয়াল হলো ইসলামী চান্দ্র বর্ষের দশম মাস। এটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি রমজানের পরবর্তী মাস এবং এই মাসে ছয়টি রোজা রাখার সুন্নত রয়েছে। রমজানের ফরজ রোজার পর শাওয়ালের ছয় রোজা রাখা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ একটি আমল, যা হাদিস দ্বারা প্রমাণিত।

শাওয়ালের ছয় রোজার গুরুত্ব

হাদিস শরিফে শাওয়ালের ছয় রোজার ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। হজরত আবু আইয়ুব আনসারি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন—

"যে ব্যক্তি রমজানের ফরজ রোজাগুলো রাখল এবং এরপর শাওয়ালে ছয়টি রোজা রাখল, সে যেন সারা বছর রোজা রাখার সওয়াব পেল।" (সহিহ মুসলিম: ১১৬৪)

অন্য এক হাদিসে রাসুল (স.) বলেন—

"রমজানের রোজা দশ মাসের রোজার সমান, আর শাওয়ালের ছয় রোজা দুই মাসের সমান। সুতরাং এটি এক বছরের রোজার সমতুল্য।" (মুসনাদে আহমদ, ৫/২৮০)

শাওয়ালের ছয় রোজার সওয়াব

শাওয়ালের ছয় রোজা রাখার মাধ্যমে সারা বছরের রোজার সওয়াব পাওয়া যায়। কারণ পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ বলেন—

"যে ব্যক্তি একটি সৎকাজ করবে, তাকে তার দশগুণ প্রতিদান দেয়া হবে।" (সূরা আনআম: ১৬০)

এই ভিত্তিতে, রমজানের এক মাসের রোজার দশগুণ সওয়াব হয় ১০ মাসের সমান, আর শাওয়ালের ছয় রোজা ৬০ দিনের (২ মাস) সমান। ফলে, রমজান ও শাওয়ালের রোজাগুলো একসঙ্গে এক বছরের রোজার সমান সওয়াব প্রদান করে।

শাওয়ালের রোজা পালন করার নিয়ম

১. ঈদের পর থেকে শাওয়ালের শেষ দিন পর্যন্ত যে কোনো ছয় দিন রোজা রাখা যায়।
২. একটানা ছয় দিন রাখা জরুরি নয়, বিচ্ছিন্নভাবে রাখা যায়।
3. যাদের রমজানের রোজা কাজা আছে, তারা আগে কাজা রোজা পূরণ করবে, তারপর শাওয়ালের ছয় রোজা রাখবে।

ইমাম নববি (রহ.) বলেন, শাওয়ালের ছয় রোজা একসঙ্গে রাখা মুস্তাহাব, তবে কেউ আলাদা করেও রাখতে পারে। আর যারা রমজানের রোজা রাখতে পারেনি, তারা আগে কাজা আদায় করে পরে শাওয়ালের রোজা রাখতে পারে।

No comments

Powered by Blogger.