Header Ads

ঈদপণ্যে ক্রেতাদের ভিড়, মসলার দাম ঊর্ধ্বমুখী

 

ঈদপণ্যে ক্রেতাদের ভিড়, মসলার দাম ঊর্ধ্বমুখী


পবিত্র ঈদুল ফিতর আসন্ন, আর সেই উপলক্ষে বাজারে কেনাকাটার চাপ বাড়ছে। পোশাকের পাশাপাশি ঈদের বিশেষ খাবারের উপকরণ কেনার দিকেও ভোক্তাদের ব্যস্ততা দেখা যাচ্ছে। সেমাই, চিনি, পোলাও চাল, ঘি ও মুগডালসহ বিভিন্ন ঈদপণ্যের চাহিদা বেড়েছে। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, ক্রেতাদের ভিড় বাড়লেও অধিকাংশ পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়েই রয়েছে।

কোন পণ্যের দাম কত?

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চিকন সেমাইয়ের ২০০ গ্রাম প্রতিপ্যাকেট ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, খোলা লাচ্ছা সেমাই ১৮০-২০০ টাকা এবং চিকন সেমাই প্রতি কেজি ১৪০-১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ২০০ গ্রাম ঘি ২৮০ টাকা এবং প্রতি লিটার তরল দুধ ১০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

চিনি ১২০-১৩০ টাকা, চিনা বাদাম ২০০ টাকা, কিশমিশ ৬৫০-৭০০ টাকা, কাজু বাদাম ১২০০-১৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মসলার বাজারে অস্বস্তি

যদিও অধিকাংশ ঈদপণ্যের দাম তুলনামূলক স্থিতিশীল, মসলার বাজারে ব্যাপক দাম বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্তমানে বাজারে এলাচ ৩২০০-৫৫০০ টাকা, লবঙ্গ ১৪০০-১৪৫০ টাকা, জিরা ৬৫০-৭৫০ টাকা, গোলমরিচ ৭০০ টাকা, দারুচিনি ৬০০-৬৫০ টাকা, আলুবোখারা ৯৫০-১০০০ টাকা, হলুদের গুঁড়া ৪০০ টাকা, কালোজিরা ৩৫০ টাকা এবং তেজপাতা ২০০-২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীদের অভিমত

কেরানীগঞ্জের কালীগঞ্জ বাজারের মুদি দোকানি ইউসুফ জানান, ঈদে সেমাই ও চিনির চাহিদা সবচেয়ে বেশি। চাহিদা বাড়লেও দাম নিয়ন্ত্রণে আছে। কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী রাকিব মিয়া বলেন, ঈদের আগে শেষ মুহূর্তে আরও চাপ বাড়বে, তবে দাম খুব বেশি পরিবর্তন হবে না বলে মনে করেন তিনি।

সব মিলিয়ে, ঈদের কেনাকাটায় ভোক্তারা ব্যস্ত থাকলেও বাজার পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল। তবে মসলার উচ্চমূল্য কিছুটা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.