প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় আলফ্রেডের আঘাত, বিপদে ২৫ লক্ষ মানুষ

 

প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে স্থলভাগের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় আলফ্রেড। আবহাওয়াবিদরা এটিকে গত ৫০ বছরের অন্যতম ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। ঝড়টি যদি বর্তমান শক্তি নিয়ে আছড়ে পড়ে, তাহলে প্রায় ২৫ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন।

ঝড়ের অবস্থান ও গতিবেগ

ঘূর্ণিঝড় আলফ্রেড এখন তীব্র গতিতে অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব উপকূলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ব্রিসবেনের দিকেই এর গতি, যেখানে কয়েক মিলিয়ন মানুষের বসবাস। শুক্রবার (৭ মার্চ) সকালে এটি ব্রিসবেন থেকে ১৯৫ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থান করছিল এবং ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি গতিতে পশ্চিমে অগ্রসর হচ্ছিল।

সম্ভাব্য ধ্বংসলীলা

আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ক্যাটাগরি ১ মাত্রার এই ঝড় শুক্রবার রাত বা শনিবার ভোরের দিকে উপকূলে আঘাত হানতে পারে। ইতিমধ্যেই কুইন্সল্যান্ড ও নিউ সাউথ ওয়েলসে প্রবল ঝড়ো হাওয়া বইতে শুরু করেছে। বাতাসের গতিবেগ ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টারও বেশি। উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ১২.৩ মিটার উঁচু ঢেউ উঠছে, যা সমুদ্রকে আরও উত্তাল করে তুলছে।

ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা ও প্রশাসনের পদক্ষেপ

• ঝড়ের কারণে ৮২,০০০-এরও বেশি বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
• ব্রিসবেন বিমানবন্দর বন্ধ, গণপরিবহনও স্থগিত রাখা হয়েছে।
• দক্ষিণ-পূর্ব কুইন্সল্যান্ডে ১০০০টিরও বেশি স্কুল এবং উত্তর নিউ সাউথ ওয়েলসের ২৮০টি স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে।
• ঝড়ের কারণে টানা বৃষ্টিপাত ও প্রবল বাতাসের আশঙ্কা রয়েছে, যা বন্যার পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।

জরুরি সতর্কতা

গোল্ড কোস্ট সিটি কাউন্সিল ইতিমধ্যেই নির্দেশ জারি করেছে, সমুদ্রের ধারেপাশে গেলে ১০,০০০ ডলার (প্রায় ৮.৭১ লক্ষ ভারতীয় টাকা) জরিমানা করা হবে। স্থানীয় প্রশাসন জনগণকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে।

ঝড়ের ভয়াবহতা বাড়তে থাকায় উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষজনকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি অনিবার্য হয়ে উঠতে পারে।