Header Ads

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নতুন রেকর্ড: রানশূন্য সুপার ওভার

 

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নতুন রেকর্ড: রানশূন্য সুপার ওভার!



ক্রিকেট মানেই উত্তেজনা, আর সুপার ওভার হলে তো কথাই নেই! ভক্তরা অপেক্ষা করেন রোমাঞ্চকর মুহূর্তের জন্য। তবে কখনো কখনো এমন কিছু ঘটে, যা প্রত্যাশার চেয়েও বেশি নাটকীয়।

এমনই এক ঘটনাই ঘটেছে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত ত্রি-দেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে। শুক্রবার হংকং ও বাহরাইনের ম্যাচে দেখা গেল আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এক অবিশ্বাস্য সুপার ওভার—যেখানে এক দল কোনো রানই করতে পারেনি!

নাটকীয় ম্যাচের গল্প

কুয়ালালামপুরের বাইয়ুয়েমাস ওভালে প্রথমে ব্যাট করে হংকং নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রান করে। জবাবে বাহরাইনও ৮ উইকেটে ঠিক একই রান করে ফেলায় ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে।

ভক্তরা আশা করেছিলেন, সুপার ওভারেও হবে টানটান উত্তেজনা। কিন্তু যা ঘটল, তা যেন অবিশ্বাস্য কাহিনি!

সুপার ওভারে রানশূন্য বাহরাইন!

সুপার ওভারে প্রথমে ব্যাট করতে নামে বাহরাইন। হংকংয়ের হয়ে বল হাতে আসেন অভিজ্ঞ অফস্পিনার এহসান খান।

  • প্রথম বলেই বাহরাইনের ব্যাটার আহমেদ নাসিরকে ডট বল দেন তিনি।
  • এরপর টানা দুই বলে দুই ব্যাটার (আহমেদ নাসির ও শোহাইল আহমেদ) আউট হয়ে যান।
  • মাত্র তিন বলের মধ্যেই অলআউট হয়ে যায় বাহরাইন, এবং তাদের স্কোর দাঁড়ায় ০ রান!

ক্রিকেটের নিয়ম অনুযায়ী, সুপার ওভারে দুটি উইকেট পড়লেই দল অলআউট হয়ে যায়। ফলে বাহরাইন কোনো রান না করেই ইনিংস শেষ করে।

হংকংয়ের সহজ জয়

মাত্র ১ রান করলেই জয় নিশ্চিত ছিল হংকংয়ের। তবে বাবর হায়াত প্রথম দুটি বল ডট খেলেন, যেন নাটকীয়তা কিছুটা বাড়িয়ে দেন। কিন্তু তৃতীয় বলে এক রান নিয়ে দলকে জয় এনে দেন তিনি।

এক অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড

এই ঘটনায় বাহরাইন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে সুপার ওভারে কোনো রান না করার অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড গড়ে।

এর আগে টি-টোয়েন্টি সুপার ওভারে সর্বনিম্ন রান ছিল আফগানিস্তানের। ২০২৪ সালের ১৭ জানুয়ারি ভারতের বিপক্ষে তারা মাত্র ১ রান করেছিল।

এমন ঘটনা আগে ঘটেছে?

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এই ঘটনা প্রথম হলেও, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এমন কাণ্ড আগেও ঘটেছে।

২০০৯ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-টোয়েন্টির এক ম্যাচে সাসেক্স ও ঈগলস দলের মধ্যেও এমনই এক নাটকীয় সুপার ওভার হয়েছিল।

সাসেক্সের ইয়াসির আরাফাত সুপার ওভারে ৯ রান দেন। কিন্তু ঈগলসের বোলার সিজে ডি ভিলিয়ার্স টানা দুই বলে দুই উইকেট তুলে নেন, ফলে তার দল জয়ী হয়।

No comments

Powered by Blogger.