৫৩ বছর পরও স্বাধীনতার সুফল থেকে বঞ্চিত জনগণ: তারেক রহমানের বক্তব্য

 

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও জনগণ এখনো স্বাধীনতার পূর্ণ সুফল ভোগ করতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের পতনের পর এখন সময় এসেছে দেশের সব দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও ব্যক্তিদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে সংহত করার। এটিই প্রকৃত স্বাধীনতার চেতনা।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি বলেন, এই দিবস নতুন সূর্যোদয়ের মধ্য দিয়ে আমাদের জাতীয় জীবনের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। তিনি দেশবাসীসহ সকল প্রবাসী বাংলাদেশিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

তারেক রহমান বলেন, স্বাধীনতা দিবসে প্রথমেই আমাদের মনে পড়ে সেইসব বীর শহীদের কথা, যাদের আত্মত্যাগে দেশ স্বাধীন হয়েছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানসহ সব জাতীয় নেতার অবদানের প্রতি তিনি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগের কথা স্মরণ করেন।

তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রবিনাশী শক্তির ষড়যন্ত্র এখনো অব্যাহত রয়েছে। একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্রে দেশি-বিদেশি শক্তি কাজ করছে, যার ফলে দেশের গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক উন্নতি বাধাগ্রস্ত হয়েছে।

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হত্যার পর খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা চললেও গণতন্ত্রবিরোধী শক্তির কারণে তা স্থায়ী হয়নি বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এদিকে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পৃথক এক বিবৃতিতে বলেন, স্বাধীনতা দিবস আমাদের জন্য এক গৌরবময় দিন। তবে এখনো সেই চেতনা বাস্তবায়িত হয়নি। দেশি-বিদেশি চক্রান্তের ফলে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়েছে।

তিনি বলেন, জনগণকে ক্ষমতাহীন করতে ফ্যাসিবাদ সুষ্ঠু নির্বাচনকে নির্বাসনে পাঠিয়েছে। গণতন্ত্রের নামে কর্তৃত্ববাদী শাসন চালু করে রাষ্ট্রকে দুর্নীতি ও নির্যাতনের মাধ্যমে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছিল।

তিনি দেশের সব দেশপ্রেমিক মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় কাজ করার আহ্বান জানান। সাম্য, মানবিক মূল্যবোধ, ন্যায়পরায়ণতা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র গড়ে তোলার জন্য জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।