Header Ads

বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর ঐক্য এবং সাম্প্রতিক পরিস্থিতি

 

বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর ঐক্য এবং সাম্প্রতিক পরিস্থিতি



বাংলাদেশের জনগণ তার সামরিক বাহিনীর ওপর চিরকাল গর্বিত, কারণ তারা সবসময় দেশের জাতীয় প্রয়োজনে একক সুরে দেশের পাশে দাঁড়িয়ে সাহসিকতার সাথে ভূমিকা পালন করেছে। বিশেষ করে, গত বছর আগস্টে যখন দেশ গৃহযুদ্ধের মত সংকটময় পরিস্থিতিতে পড়েছিল, তখন সামরিক বাহিনী পুনরায় তার দৃঢ় নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশকে রক্ষা করে। দেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান তার বাহিনীকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, এবং তিনি দেশের জনগণের প্রতি আনুগত্যের শপথ নিয়ে কোনও ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে দেননি।

উল্লেখযোগ্য যে, ২০২৪ সালের আগস্টে, ছাত্রদের নেতৃত্বে যখন তীব্র আন্দোলন শুরু হয় এবং শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণরোষ সৃষ্টি হয়, তখনও সেনাবাহিনী শান্তিপূর্ণভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করে এবং গুলি চালানো থেকে বিরত থাকে। এমনকি, সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার এই সময় ঘোষণা করেন, "আর কোনো গুলি নয়, কারণ ছাত্রদের প্রতিবাদ করার অধিকার রয়েছে।"

এদিকে, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনার ফলকার টার্ক ৫ মার্চে এক সাক্ষাৎকারে বলেন যে, জাতিসংঘ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে সতর্ক করেছিল, যাতে তারা জনতার প্রতিবাদ দমনে অংশ না নেয়, কারণ এর ফলে তাদের জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। কিন্তু বাস্তবে, সেনাবাহিনী তার সিদ্ধান্ত সঠিকভাবে নিয়েছে এবং জনগণের প্রতি তার দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে কোনও বৈশ্বিক চাপের সামনে পরেনি।

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের জন্য অর্থনৈতিক লাভও অনেক গুরুত্বপূর্ণ, এবং সেনাবাহিনী কখনোই শুধু ব্যক্তিগত লাভের জন্য কাজ করে না। তবে, বিদেশে বসবাসরত কিছু সাবেক সামরিক কর্মকর্তা এবং কিছু অনিয়ন্ত্রিত গোষ্ঠী বর্তমানে সেনাবাহিনীকে অস্থিতিশীল করতে চেষ্টা করছে। তারা বিভিন্ন সংস্থার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে এবং কিছু ব্যক্তিগতভাবে পরিচিত কুখ্যাত মিডিয়া এসব প্রচারণা চালিয়ে বাহিনীকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছে।

এদিকে, ভারতের কিছু মিডিয়া যেমন 'দ্য ইকোনমিক টাইমস' এবং 'ইন্ডিয়া টুডে' বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সম্মান এবং একতা ক্ষুণ্ণ করার উদ্দেশ্যে ভুল তথ্য প্রচার করছে। এই ধরনের মিথ্যা প্রচারণার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে এবং জানিয়েছে যে, সেনাবাহিনী দেশের স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা এবং জনগণের প্রতি তার দায়িত্বে অবিচল।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিশেষত সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে চরম দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি দেশের পরিস্থিতি সংকটময় হলেও সামরিক শাসন আরোপ করেননি এবং জনগণের পাশে থেকে তাদের কল্যাণের জন্য কাজ করেছেন।

বাংলাদেশের সেনাবাহিনী সব সময় দেশের সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তা রক্ষা করেছে এবং তাদের মধ্যে ঐক্য বজায় রেখেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে, যেহেতু দেশের পুলিশ বিভাগের কার্যক্রম কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছে, সেহেতু দেশের স্থিতিশীলতা এবং জনগণের নিরাপত্তা একমাত্র সেনাবাহিনী ও তাদের একত্রিত নেতৃত্বের ওপর নির্ভরশীল। কোনো অপশক্তি গুজব এবং মিথ্যাচারের মাধ্যমে বাহিনীর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে চাইলে, আমাদের সবার দায়িত্ব এই ধরনের প্রচারণার বিরুদ্ধে সচেতন থাকা এবং সামরিক বাহিনীর প্রতি পূর্ণ সমর্থন প্রদান করা। শুধুমাত্র এভাবে, আমরা দেশব্যাপী শান্তি এবং স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে পারব।

No comments

Powered by Blogger.