Header Ads

ব্রাজিলের জন্য আর্জেন্টিনার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ কলম্বিয়া ম্যাচ – গিমারাইস

 

ব্রাজিলের জন্য আর্জেন্টিনার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ কলম্বিয়া ম্যাচ – গিমারাইস


সংবাদ সম্মেলনে চমক দেখালেন ব্রুনো গিমারাইস। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচের চেয়ে কলম্বিয়ার বিপক্ষে লড়াইকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন ব্রাজিলের এই মিডফিল্ডার।

লাতিন আমেরিকার বাছাইপর্বে আগামী শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সকালে কলম্বিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে ব্রাজিল। এরপর পাঁচদিন পর মুখোমুখি হবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার সঙ্গে।

ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচ ফুটবলের অন্যতম বড় আকর্ষণ, যা সুপারক্লাসিকো নামে পরিচিত। বিশ্বজুড়ে সমর্থকরা অধীর আগ্রহে এই ম্যাচের অপেক্ষায় থাকেন। গত নভেম্বরে মারাকানা স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনার কাছে ১-০ গোলে হেরে গিয়েছিল ব্রাজিল। তাই এবার প্রতিপক্ষের মাঠে সেই হারের বদলা নিতে চাইবে তারা।

তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রতিশোধ নেওয়ার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে কলম্বিয়ার বিপক্ষে জয়। ১২ ম্যাচ শেষে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ নম্বরে আছে ব্রাজিল। তাদের ঠিক উপরের দুটি স্থানে রয়েছে ১৯ পয়েন্ট পাওয়া একুয়েডর ও কলম্বিয়া। গোল পার্থক্যে পিছিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে কোপা আমেরিকার রানার্সআপ কলম্বিয়া।

শীর্ষে রয়েছে আর্জেন্টিনা, যাদের সংগ্রহ ২৫ পয়েন্ট। পাঁচ পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উরুগুয়ে।

মঙ্গলবার ব্রাজিল দলের সব খেলোয়াড় প্রথম অনুশীলনে অংশ নেন। এরপর গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে গিমারাইস বলেন, দুই ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ হলেও পরিস্থিতির কারণে কলম্বিয়া ম্যাচকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে দল।

"দুটিই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ, তবে আমরা একবারে একটি ম্যাচ নিয়েই ভাবছি। পয়েন্ট টেবিলের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো কলম্বিয়ার বিপক্ষে লড়াই। আমরা ভালোভাবে শুরু করতে চাই, তিন পয়েন্ট নিতে চাই, তারপর আর্জেন্টিনার কথা ভাবব। আশা করছি, দুটি ভালো ম্যাচ খেলতে পারব এবং বিশ্বকাপের মূল পর্বের পথে এগিয়ে যাব।"

গত বছর নিজেদের মাঠে বাজে পারফরম্যান্সের জন্য সমর্থকদের দুয়ো শুনতে হয়েছিল ব্রাজিল দলকে। কখনো কখনো স্টেডিয়ামের আসনও ফাঁকা ছিল। এবার দলকে সমর্থন জানাতে সবাইকে আহ্বান জানিয়েছেন নিউক্যাসল ইউনাইটেড অধিনায়ক গিমারাইস।

"আমি খুশি যে এবার সব টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে। শেষ ম্যাচে অনেক আসন খালি ছিল। আমরা দর্শকপূর্ণ স্টেডিয়ামের কথা বলছিলাম। আমরা সমর্থকদের পাশে চাই, কারণ তারা পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। জাতীয় সংগীত গাওয়ার সময় যখন সবাই একসঙ্গে কণ্ঠ মেলায়, তখনই মনে হয় আমরা ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছি। আমাদের ভালো খেলতে হবে, আনন্দ দিতে হবে এবং দেশের হয়ে গর্বিত হতে হবে।"

No comments

Powered by Blogger.