Header Ads

ট্রাম্প কেন ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তা বন্ধ করলেন?


ট্রাম্প কেন ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তা বন্ধ করলেন?


 মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা সাময়িকভাবে বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে তিনি কী অর্জন করতে চাচ্ছেন, তা নিয়ে নানা জল্পনা চলছে।

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প মূলত ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চান, যাতে তিনি রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে বাধ্য হন। ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখলের পর ২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রায় সামরিক আগ্রাসন চালায়। এই যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ছিল ইউক্রেনের অন্যতম প্রধান সহায়তাকারী। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন এখন এই সহযোগিতা পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুদ্ধের সমাপ্তি চান এবং তিনি আশা করেন, অন্যান্য মিত্র রাষ্ট্রও এই লক্ষ্যে কাজ করবে। ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠজনরা বলছেন, ইউক্রেন যতক্ষণ না শান্তি আলোচনায় সদিচ্ছা দেখাচ্ছে, ততক্ষণ এই সহায়তা স্থগিত থাকবে।

এদিকে, মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস মনে করেন, যুদ্ধ বন্ধে ইউক্রেনকে এমন একজন নেতার প্রয়োজন, যিনি রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করতে রাজি হবেন। তিনি ইঙ্গিত দেন যে, জেলেনস্কিকে হয়তো পদত্যাগ করতে হতে পারে।

সম্প্রতি ট্রাম্প ও জেলেনস্কির মধ্যে হোয়াইট হাউসে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছে, যার ফলে একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ চুক্তি ভেস্তে যায়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ট্রাম্প প্রশাসন চায় জেলেনস্কি দুঃখ প্রকাশ করুন এবং কোনো শর্ত ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত খনিজ চুক্তি গ্রহণ করুন। তবে জেলেনস্কি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে তিনি কোনো চুক্তিতে সম্মত হবেন না।

এর আগে, ন্যাটোর সদস্যপদ পেলে পদত্যাগ করার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন জেলেনস্কি, তবে ট্রাম্প প্রশাসন এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। বরং তারা মস্কোর দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সংগতি রেখে ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে।

এখন প্রশ্ন উঠছে, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ কি ইউক্রেনকে আলোচনার টেবিলে বসতে বাধ্য করবে, নাকি রাশিয়াকে আরও সুবিধা দেবে? বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেনের সামরিক সহায়তা বন্ধ রাখার ফলে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।

No comments

Powered by Blogger.