সাড়ে ছয় হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের আপিল শুনানি রবিবার
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ৬ হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীর নিয়োগ বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে এ আবেদন করা হয়। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদ উদ্দিন জানিয়েছেন, আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্টে আগামী রবিবার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
কীভাবে বাতিল হলো নিয়োগ?
গত ৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট এক রায়ে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে এবং মেধার ভিত্তিতে নতুনভাবে নিয়োগের নির্দেশ দেয়।
২০২৩ সালের ৩১ অক্টোবর ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের (পার্বত্য জেলা বাদে) সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়, যেখানে ৬ হাজার ৫৩১ জন উত্তীর্ণ হন। তবে এক রিটের শুনানি শেষে ১৯ নভেম্বর হাইকোর্ট ছয় মাসের জন্য এই নিয়োগ স্থগিত করে।
পরবর্তীতে, ৬ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত শুনানির পর বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর বেঞ্চ নিয়োগ বাতিলের আদেশ দেন।
আন্দোলন অব্যাহত
নিয়োগ বাতিলের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। শনিবার সকাল ৯টা থেকে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন, যা টানা ১০ দিন ধরে চলছে।
আন্দোলনকারীদের দাবি, প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে নিয়োগ পাওয়া প্রার্থীরা চাকরিতে যোগ দিয়েছেন, অথচ একই পদ্ধতিতে উত্তীর্ণ তৃতীয় ধাপের প্রার্থীরা নিয়োগবঞ্চিত।
তারা জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বেন না। আন্দোলনের অংশ হিসেবে তারা দিনে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান করছেন এবং রাতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থাকছেন।
পুলিশের হস্তক্ষেপ
আন্দোলনকারীদের দাবি, গত তিন দিনে তাদের ওপর একাধিকবার বলপ্রয়োগ করা হয়েছে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার পুলিশ তাদের ওপর জলকামান, লাঠিচার্জ এবং টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে।
এর আগে ৯ ফেব্রুয়ারিও পুলিশ আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান, সাউন্ড গ্রেনেড এবং কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করেছিল।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, তারা শুধু তাদের প্রাপ্য চাকরির দাবিতেই আন্দোলন করছেন এবং ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
No comments