মুক্তি দিচ্ছে হামাস আজ ৩ জিম্মিকে

 ফিলিস্তিনের গাজায় আটক তিনজনকে আজ শনিবার মুক্তি দেবে হামাস। যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, সংগঠনটি এই তিন বেসামরিক ব্যক্তিকে মুক্তি দিতে সম্মত হয়েছে। হামাসের পক্ষ থেকে জানানো তিনজনের নাম হলো এলি শারাবি, ওহাদ বেন আমি এবং ওর লেভি।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর নিশ্চিত করেছে যে, এই তিনজনের নামের তালিকা তাদের কাছে পৌঁছেছে এবং তাঁদের পরিবারকেও মুক্তির খবর জানানো হয়েছে।

গতকাল জিম্মি ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারের পক্ষ থেকে গঠিত একটি ফোরামও এই মুক্তির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।

যুদ্ধবিরতির অধীনে বন্দী বিনিময়

চলমান যুদ্ধবিরতির আওতায় হামাস ইতোমধ্যে ১৮ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে, আর ইসরায়েল ৩৮৩ জন ফিলিস্তিনি বন্দীকে ছেড়ে দিয়েছে।

প্রথম পর্যায়ের জন্য নির্ধারিত তিন সপ্তাহের মধ্যে হামাসের আরও ৩৩ জন জিম্মি মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে। তবে ইসরায়েল দাবি করছে, তাঁদের মধ্যে ৮ জন ইতিমধ্যে মারা গেছেন। অন্যদিকে, ইসরায়েল ১,৯০০ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেবে বলে জানিয়েছে।

চলমান সংঘাত ও ক্ষয়ক্ষতি

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ২৫১ জনকে জিম্মি করে এবং ১,২০০ জন নিহত হন। এরপরই ইসরায়েল গাজায় ব্যাপক হামলা শুরু করে, যা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে।

হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৪৭,৫০০ মানুষ নিহত হয়েছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলি হামলায় গাজার দুই-তৃতীয়াংশ ভবন ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

যদিও যুদ্ধবিরতি কার্যকর রয়েছে, তবুও গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ছে। বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন এবং অঞ্চলটি খালি করতে চান। তাঁর এই পরিকল্পনার তীব্র সমালোচনা করেছে জাতিসংঘ ও আরব দেশগুলো।