Header Ads

শেখ হাসিনার বক্তব্য ঘিরে দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ: সরকারের প্রতিক্রিয়া ও উদ্বেগ

                                     

হাসিনার বক্তব্য ঘিরে ক্ষোভ
হাসিনার বক্তব্য ঘিরে ক্ষোভ




 প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিতর্কিত বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় তিন দিন ধরে বিক্ষোভ, হামলা, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে এবং অন্যান্য এলাকাগুলোর পরিস্থিতি গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। এই ঘটনায় মানুষের মধ্যে ভয় ও উদ্বেগ বাড়ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ইতিমধ্যেই তিনটি বিবৃতি দিয়েছেন, যাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারের পদক্ষেপ এবং জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।


অন্তর্বর্তী সরকারের ছয় মাসের মধ্যে যখন পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হচ্ছিল, তখনই এসব অস্থিরতার ঘটনা ঘটছে। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম জনগণকে শান্ত থাকার এবং সরকারের কাজ করতে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, তবে পরিস্থিতি পুরোপুরি থামেনি।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই পরিস্থিতির পেছনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্য দায়ী। ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনার বক্তব্যের পর ছাত্র-জনতাসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়, যার ফলে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বিক্ষোভ শুরু হয়। সেখানে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি এবং সুধা সদনে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এরপর থেকে বিভিন্ন জেলায় আওয়ামী লীগ ও সরকারের নেতাদের বাড়ি, দলীয় কার্যালয় এবং অন্যান্য স্থাপনায় হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

এদিকে, সরকার একাধিক বিবৃতিতে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধের জন্য কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বললেও, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পারছে না। এ নিয়ে জনগণের মধ্যে নানা প্রশ্ন উঠেছে।

এ ঘটনার প্রেক্ষিতে মানবাধিকার সংস্থা এবং রাজনৈতিক দলগুলো সরকারের ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) সরকারের কার্যকরী ভূমিকা অব্যাহত না থাকলে দেশের স্থিতিশীলতা বিপদের মুখে পড়বে বলে সতর্ক করেছে। বিএনপি দলের পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে যেন এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়, এবং কোন ধরনের সহিংসতায় দলীয় নেতাকর্মীরা জড়িত না হন।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, জনগণের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ানোর এই প্রক্রিয়া শুধু সরকারের অস্তিত্বকেই চ্যালেঞ্জ করছে না, বরং দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।

No comments

Powered by Blogger.