তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়নে দৃঢ় অবস্থানে সরকার: উপদেষ্টা আসিফ
রংপুর জেলার কাউনিয়া উপজেলার তিস্তা রেলব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় আয়োজিত গণশুনানিতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়নে নতজানু থাকবে না। তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে ভারত সরকারের সঙ্গে দৃঢ় অবস্থানে থেকে আলোচনা করা হবে। প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগের ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
![]() |
উপদেষ্টা আসিফ |
তিনি বলেন, “উত্তরবঙ্গের মানুষের প্রধান দাবি তিস্তার পানির ন্যায্য বণ্টন। রিলিফ নয়, তারা তিস্তায় পানি চান। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদেই তিস্তা মহাপরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে।”
উন্নয়ন কার্যক্রমের বিষয়ে তিনি আরও জানান, তিস্তার চর এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ, কৃষিজ পণ্য সংরক্ষণের জন্য কোল্ড-স্টোরেজ স্থাপন, চিনিকল পুনরায় চালু করা এবং পীরগাছা-চিলমারী সংযোগে ১৪০০ মিটার দীর্ঘ সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হবে। এছাড়া উপজেলাভিত্তিক আধুনিক লাইব্রেরি ও উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য বিশেষ বরাদ্দও ঘোষণা করা হয়েছে।
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, তিস্তা একটি আন্তর্জাতিক নদী, যার ওপর কোনো একক দেশের অধিকার নেই। ভারতের উচিত তিস্তার বাঁধ খুলে দেওয়ার আগে বাংলাদেশকে জানানো। তিনি জানান, চীনের সহযোগিতায় তিস্তা মহাপরিকল্পনা ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে চূড়ান্ত হবে। তিস্তার ভাঙন রোধে ৪৫ কিলোমিটার তীর-রক্ষা কাজ আগামী সপ্তাহেই শুরু হবে।
গণশুনানিতে অংশ নেওয়া জনগণ তিস্তা মহাপরিকল্পনার দ্রুত বাস্তবায়ন, তিস্তার পানির সুষম বণ্টন, শাখা নদীগুলোর সংযোগ পুনঃস্থাপন, বন্যা ও খরার প্রতিরোধ, শক্তিশালী বাঁধ নির্মাণসহ নানা দাবির কথা তুলে ধরেন।
এই গণশুনানির সভাপতিত্ব করেন রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল। স্থানীয় সরকার বিভাগ ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এতে উপস্থিত ছিলেন।
No comments