Header Ads

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ হল ও ১ স্কুলের নামফলক ভেঙে নতুন নামকরণ, বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ"


 

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ


গতকাল বুধবার রাতে তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা নামফলক, গ্রাফিতি ও দেয়াললিখন মুছে ফেলার উদ্দেশ্যে এই কর্মসূচি পালন করেন।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে ‘বিজয়-২৪ হল’, শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান হলের নাম পরিবর্তন করে ‘শহীদ আলী রায়হান হল’, শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন করে ‘ফাতিমা আল-ফাহরিয়া হল’, এবং শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলের নাম পরিবর্তন করে ‘নবাব ফয়জুন নেসা চৌধুরানী’ রাখেন। এছাড়া, শেখ রাসেল মডেল স্কুলের নাম পরিবর্তন করে ‘রিয়া গোপ মডেল স্কুল’ নামকরণ করা হয়।

বিক্ষোভের প্রথম পর্যায়ে, রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বর থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা একটি মিছিল বের করেন। মিছিলের সময় তারা ‘স্বৈরাচারের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘মুজিববাদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, আগুন জ্বালো একসাথে’—এমন স্লোগান দিতে থাকেন।

মিছিলটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে পৌঁছালে, বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা হলটির নামফলক ও উদ্বোধনী ফলক ভেঙে দেন এবং দেয়ালে ‘বিজয় ২৪’ লিখে দেয়। এরপর, তারা শেখ হাসিনা হল, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হল এবং শেখ রাসেল মডেল স্কুলের নামফলক ভেঙে ফেলেন।

এই সময়ে, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলের ভেতর থেকে কিছু শিক্ষার্থী আন্দোলনকারীদের দিকে ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিতে থাকেন এবং স্যান্ডেল ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে, তারা হলের নতুন নামফলকের ব্যানার ছিঁড়ে পুড়িয়ে ফেলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে। হলের ভেতর থেকে কিছু শিক্ষার্থী সাংবাদিকদের জানান, তাদের হলের নাম পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত তারা নিজেরাই নেবেন, কিন্তু বাইরের শিক্ষার্থীরা কেন তা করবে? তারা দাবি করেন, বিষয়টি পূর্বপরিকল্পিত ছিল এবং তাদের পূর্বে কিছু জানানো হয়নি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, ‘‘এটি দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলমান আন্দোলনের একটি অংশ। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ মুহূর্তে এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করবে না। যদি নাম পরিবর্তন করা হয়, তবে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট ও সংশ্লিষ্ট পক্ষদের আলোচনার মাধ্যমে হবে।


No comments

Powered by Blogger.