থমথমে কুয়েট: সংঘর্ষের জেরে বহিষ্কার যুবদল নেতা

 

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর ক্যাম্পাসে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আজ বুধবার সকাল থেকেই ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের চারপাশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। নিরাপত্তা শঙ্কায় কিছু শিক্ষার্থী হল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন।

গতকাল মঙ্গলবার সংঘর্ষের সময় রামদা হাতে থাকা যুবদল নেতা মাহবুবুর রহমানের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে তাঁকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়। আজ যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলামের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে খুলনার দৌলতপুর থানা যুবদলের সহসভাপতি মাহবুবুর রহমানকে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং তাঁর সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সংঘর্ষের জেরে ক্যাম্পাসে পরিস্থিতি অস্থির হয়ে পড়েছে। কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের শিক্ষার্থী দেবাঞ্জন রায় বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকতে পারে, তাই হল ছেড়ে যাচ্ছি।’

গতকাল দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে, যাতে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। সংঘর্ষের পর একদল শিক্ষার্থী কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা, হামলাকারীদের শাস্তি, উপাচার্য ও প্রশাসনের পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করেন। তাঁরা আজ বেলা একটার মধ্যে এসব দাবি মানার সময়সীমা বেঁধে দেন এবং দাবি পূরণ না হলে সব ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন।

অন্যদিকে, কুয়েটের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি খুলনা প্রেসক্লাবে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে, যেখানে কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন।

খুলনা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (নর্থ) মো. নাজমুল হাসান জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে, তবে এখনো কোনো মামলা হয়নি। পুলিশের পক্ষ থেকে ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।